পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রহলোক -- ఏ ) বলেন চাদে পৃথিবীতে দূরত্ব বেড়েই চলেছে। অবশেষে চান্দ্রমাসে সৌরমাসে সমান হয়ে যাবে তখন কাছের দিকে টানবার পালা শুরু হবে। বৃহস্পতির চেয়ে শনি সূর্য থেকে আরো বেশি দূরে— কাজেই ঠাণ্ডাও আরো বেশি। এর বাইরের দিকের বায়ুমণ্ডল অনেকটা বৃহস্পতির মতে, কেবল অ্যামোনিয়া তত বেশি জানা যায় না, আলেয়া গ্যাসের পরিমাণ শনিতে বৃহস্পতির চেয়ে বেশি । শনি যদিও পৃথিবীর চেয়ে আয়তনে অনেক বেশি তবু তার ওজন সে-পরিমাণে ভারি নয়। বৃহস্পতির মতো এর বায়ুমণ্ডল গভীর হবার কথা, কেননা এর টান এড়িয়ে বাতাসের পালাবার পথ নেই। এর বাতাসের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি ব’লেই এর গড়পড়তা ওজন আয়তনের তুলনায় এত কম । এর ভিতরের কঠিন অংশের ব্যাস ২৪০০০ মাইল, তার উপরে প্রায় ৬০০০ মাইল বরফ জমেছে—আর তার উপরে অাছে ১৬০০০ মাইল হাওয়া । ত্ৰ শনিগ্রহের পরের মণ্ডলীতে আছে য়ুরেনস নামক এক নতুন-খবর পাওয়া গ্রহ। এ গ্রহ সম্বন্ধে বিশেষ বিবরণ কিছু জানা সম্ভব হয়নি। এর আয়তন পৃথিবীর ৬৪ গুণ বেশি। সূর্য থেকে ১৭৮ কোটি ২৮ লক্ষ মাইল দূরে থেকে সেকেণ্ডে চার মাইল বেগে ৮৪ বছরে একবার তাকে প্রদক্ষিণ করে। এত বড়ে এর আয়তন, কিন্তু খুব দূরে অাছে ব’লে দুরবীন ছাড়া একে দেখা যায় না । যে জিনিসে এ গ্রহ তৈরি তা জলের চেয়ে একটু ঘন,