পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমাণুলোক ot (t পেতে হোলে সূর্যের দৃষ্টান্ত মনে আনতে হবে । স্বভাবতই আমরা যত কিছু বড়ো জিনিসকে জানি বা মনে আনতে পারি তার মধ্যে সব চেয়ে বড়ো এই পৃথিবী । একে আমরা অংশ অংশ করেই দেখতে পারি। একসঙ্গে সবটার প্রকৃত ধারণা আমাদের বোধের পক্ষে অসম্ভব । অথচ সূর্য এই পৃথিবীর চেয়ে তেরো লক্ষ গুণ বড়ো । এত বড়ো সূর্য আকাশের একটা ধারে আমাদের কাছে দেখা দিয়েছে একটি সোনার থালার মতো । সূর্যের ভিতরকার সমস্ত তুমুল তোলপাড়ের যখন খবর পাই আর তার পরে যখন দেখি ভোরবেলায় আমাদের আমবাগানের পিছন থেকে সোনার গোলকটি ধীরে ধীরে উপরে উঠে আসছে, জীবজন্তু গাছপালা আনন্দিত হয়ে উঠছে, তখন মনে ভাবি আমাদের কী রকম ভুলিয়ে রাখা হয়েছে ; আমাদের ব’লে দিয়েছে তোমাদের জীবনের কাজে এর বেশি জামবার কোনো দরকার নেই। না ভোলালেই ব৷ বঁচিতুম কী ক’রে । ঐ সূর্য আপন বিরাট স্বরূপে যা, সে যদি আমাদের অনুভূতির অল্পমাত্রও কাছে আসত তাহলে তো আমরা মুহুর্তেই লোপ পেয়ে যেতুম । এই তো গেল সূর্য । .এই সূর্যের চেয়ে আরো অনেক গুণ বড়ো আছে আরো অনেক অনেক নক্ষত্র । তাদের দেখছি কতকগুলি আলোর ফুটুকির মতো। যে দূরত্বের মধ্যে এই সব নক্ষত্র ছড়ানো, ভেবে তার কিনারা পাওয়া যায় না । বিশ্বজগতের বাস। যে আকাশটাতে সেটা যে কত বড়ো সে কথা আর-একদিক থেকে ভেবে দেখা যেতে পারে । অামাদের তাপবোধে