পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমাণুলোক S (t. বাইরে বিদায় করে দেয় । সেই ফেরত-দেওয়া রংটাই আমাদের চোখের লাভ । মোট ব্লটিং যে রসটা শুষে ফেলে সে কারো ভোগে লাগে না, যে রসট। সে নেয় না সেই উদ্ধৃত্ত রসটাই আমাদের পাওনা । এও তেমনি । চুনি পাথর সূর্যকিরণের আর সব রকম ঢেউকেই মেনে নেয়, ফিরিয়ে দেয় লাল রংকে । তার এই ত্যাগের দানেই চুনির খ্যাতি । ষা নিজে আত্মসাৎ করেছে তার কোনো খ্যাতি নেই । লাল । রংটাই কেন যে ও নেয় না, আর নীল রঙের পরেই নীলা পাথরের কেন সম্পূর্ণ বৈরাগ্য এ প্রশ্নের জবাব ওদের পরমাণু মহলে লুকানো রইল। সূর্ষের সব ঢেউকেই পাকা-চুল ফিরে পাঠায় তাই সে সাদ, কাচা-চুল কোনো ঢেউই ফিরে দেয় না, অর্থাৎ আলোর কোনো অংশই তার কাছ থেকে ছাড়া পায় না, তাই সে কালো । জগতের সব জিনিসই যদি সূর্যের সব রংই করত আত্মসাৎ তাহলে সেই কৃপণের জগৎটা দেখা দিত কালো হয়ে, অর্থাৎ দেখাই দিত না । যেন খবর বিলোবার সাতটা পেয়াদকেই পোস্টমাস্টার বন্ধ করে রাখত। অথচ কোনো আলোই যদি না নিত সবই হোত সাদা, তবে সেই একাকারে সব জিনিসেরই প্রভেদ যেত ঘুচে । যেন সাতটা পেয়াদার সব চিঠিই তাল পাকিয়ে একখানা করা হোত, কোনো স্বতন্ত্র খবরই পাওয়া যেত না । একই চেহারায় সবাইকে দেখাকে দেখা বলে না। না-আলো আর পূর্ণ। অালো কোনোটাতেই আমাদের দেখা চলে না, আমরা দেখি ভাঙা আলোর মেলামেশায় ।