পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমাণুলোক » °ል፡ দশকোটি পরমাণুকে পাশাপাশি সাজালে তার মাপ হবে এক ইঞ্চি মাত্র । + সহজ উপায়ে ধুলোর কণাকে আর আমরা ভাগ করতে পারিনে কিন্তু বৈজ্ঞানিক তাড়নে বিশ্বের সকল সামগ্রীকে আরো অনেক বেশি স্থক্ষ্মে নিয়ে যেতে পেরেছে । শেষকালে এসে ঠেকেছে বিরেন্নববইটা অমিশ্র পদার্থে । পণ্ডিতেরা বললেন এদেরই যোগ বিয়োগে জগতের যত কিছু জিনিস গড়া হয়েছে, এদের সীমান্ত পেরোবার জো নেই । মনে করা যাক, মাটির ঘরের এক অংশ তৈরি খাটি মাটি দিয়ে, আর এক অংশ মাটিতে গোবরে মিলিয়ে । তাহলে দেয়াল গুড়িয়ে তুরকম জিনিস পাওয়া যাবে, এক বিশুদ্ধ ধুলোর কণা, আর এক ধুলোর সঙ্গে মেশানো গোবরের গুড়ে । তেমনি বিশ্বের মূল জিনিস পরখ ক’রে বিজ্ঞানীরা তাকে তুই শ্রেণীতে ভাগ করেছেন, এক ভাগের নাম মৌলিক, আর এক ভাগের নাম যৌগিক । মৌলিক পদার্থে কোনো মিশল নেই, আর যৌগিক পদার্থে এক বা আরো বেশি জিনিসের যোগ আছে । সোনার পরমাণু মৌলিক, ওকে যত সূক্ষ্ম ভাগ করে। সোনা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবে না। জল যৌগিক, ওকে ভাগ করলে তুটো মৌলিক গ্যাস বেরিয়ে পড়ে, একটার নাম অক্সিজেন অার একটার নাম হাইড্রোজেন । এই দুটি গ্যাস যখন স্বতন্ত্র থাকে তখন তাদের এক রকমের গুণ, আর যেই তারা মিশে হয় জল, তখনি তাদের আর চেনবার জে থাকে না, তাদের মিলনে २