পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨8 বিশ্ব-পরিচয় আবার নেগেটিভের ভিড়-বাহুল্যওয়ালা রেশমের টান পড়ল কাচের দিকে । কাচ বা রেশমে সাধারণতন্ত্র যখন অক্ষুন্ন ছিল তখন আপনাতে আপনি ছিল সহজ, ছিল শান্ত । শাস্ত অবস্থায় এদের মধ্যে বৈদ্যুতের অস্তিত্ব জানা-ই যায়নি। বাইরে বৈদ্যুতিক গৃহবিপ্লবের খবর তখনি বেরিয়ে পড়ল যেমনি ভাগাভাগির অসমানতায় ক্ষোভ জন্মিয়ে দিলে । র্কাচ কিংবা অন্য কিছুর থেকে ঘষাঘষির দ্বারা সামান্ত পরিমাণ ইলেকট্রন সরিয়ে নেবার কথা বলেছি । পরিমাণট। কত যদি বিজ্ঞানীকে জিজ্ঞাসা করা যায় তিনি সামান্ত একটু ঘাড় নেড়ে বলবেন, ঘষড়ানির মাত্র। অনুসারে চল্লিশ পঞ্চাশ যাট কোটি হোতে পারে। বিজলি বাতির সলতে তারের ভিতর দিয়ে ইলেকটনের ঠেসাঠেসি ভিড় চলতে থাকে তবেই সে জ্বলে। তারে এ-প্রাস্ত থেকে ও-প্রাস্তে যতগুলি ইলেকটন একসঙ্গে যাত্র করে আমাদের গণিতশাস্ত্রে সেই সংখ্যার কী নাম আছে আমি তা তো জানিনে । যা হোক এটা দেখা গেল যে, অতি-পরমাণুদের তুরস্ত চাঞ্চল্য পজেটিভ নেগেটিভে সন্ধি করে সংযত হয়ে আছে তাই বিশ্বে আছে শান্তি । ভালুকওয়ালা বাজায় ডুগডুগি, তারি তালে ভালুক নাচে, আর নানা খেলা দেখায়। ডুগডুগিওয়ালা না যদি থাকে, পোষমান ভালুক যদি শিকলি কেটে স্বধম পায় তাহলে কামড়িয়ে আঁচড়িয়ে চারদিকে অনর্থপাত করতে থাকে । আমাদের সর্বাঙ্গে এবং দেহের বাইরে এই পোষমান৷