পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমাণুলোক ૨ ગ ছিটিয়ে-ফেলা তেজের কণা আছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে বীটা, বলা যেতে পারে খ। সে ইলেকট্রন, নেগেটিভ চার্জ করা বিষম তার দ্রুত বেগ । তবু পাতলা একটি কাগজ চলার রাস্তায় পড়লে আলফা পরমাণু দেহান্তর লাভ করে, সে হয়ে যায় হেলিয়ম গ্যাস । আরো কিছু বাধা লাগে বীটাকে থামিয়ে দিতে। রেডিয়মের তৃণে এই দুইটি ছাড়া আর একটি রশ্মি আছে তার নাম গামা । সে পরমাণু বা অতিপরমাণু নয়, সে একটি বিশেষ আলোকরশ্মি । তার কিরণ স্থূল বস্তুকে ভেদ করে যেতে পারে, যেমন যায় র্যণ্টগেন রশ্মি । এই সব তেজস্কণার ব্যবহার সকল অবস্থাতেই সমান, লোহা-গলানো গরমেও, গ্যাস তরল করা ঠাণ্ডাতেও । তাছাড়া তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আবার পূর্বের মতো দানা বেঁধে দেওয়া কারো সাধ্য নেই । পরমাণুর কেন্দ্র পিণ্ডটিতে যতক্ষণ না কোনো লোকসান ঘটে ততক্ষণ দুটো চারটে ইলেকট্রন যদি ছিনিয়ে নেওয়া যায় তাহলে তার বৈদ্যুতের বাধা বরাদে কিছু কমতি পড়তে পারে কিন্তু অপঘাতটা সাংঘাতিক হয় না । যদি ঐ কেন্দ্রবস্তুটার খাস তহবিলে লুটপাট সম্ভব হয় তাহলেই পরমাণ র জাত বদল হয়ে যায় । পরমাণুর নিজের মধ্যে একান্ত ঐক্য নেই এ খবরট। পেয়েই বিজ্ঞানীরা প্রথমটা আশা করেছিলেন যে, তারা তেজছুড়ে-মারা গোলন্দাজ রেডিয়মকে লাগাবেন পরমাণুর মধ্যে ভেদ ঘটিয়ে তার কেন্দ্র-সম্বলভাঙা লুটপাটের কাজে । কিন্তু