পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নক্ষত্রলোক 8○ আমাদের সূর্য আছে এই রকম একটি নীহারিকার অন্তর্গত হয়ে । 4. আমেরিকার পর্বতচূড়ায় বসানো হয়েছে মস্ত বড়ো এক দূরবীন, তার ভিতর খুব বড়ো এক নীহারিকা দেখা গেছে । সে অাছে অ্যাণ্ডোমীড নামধারী নক্ষত্রমণ্ডলীর মধ্যে । ঐ নীহারিকার অাকার অনেকটা গাড়ির চাকার মতো। সেই চাকা ঘুরছে। একপাক ঘোরা শেষ করতে তার লাগে প্রায় কোটি বছর। নয় লাখ বছর লাগে এর কাছ থেকে পৃথিবীতে আলো এসে পৌছতে । আমাদের সব চেয়ে কাছের যে তারা, যাকে আমাদের তারা-পাড়ার পড়শি বললে চলে, সংখ্যা সাজিয়ে তার দূরত্ব বোঝাবার চেষ্টা করা বৃথা । সংখ্যা-বাধা যে পরিমাণ দূরত্ব মোটামুটি আমাদের পক্ষে বোঝা সহজ, তার সীমা পৃথিবীর গোলকটির মধ্যেই বদ্ধ, যাকে আমরা রেলগাড়ি দিয়ে মোটর দিয়ে স্টীমার দিয়ে চলতে চলতে মেপে যাই। পৃথিবী ছাড়িয়ে নক্ষত্র-বসতির সীমানা মাড়ালেই সংখ্যার ভাষাটাকে প্রলাপ ব’লে মনে হয় । গণিতশাস্ত্র নাক্ষত্রিক হিসাবটার উপর দিয়ে • সংখ্যার যে ডিম পেড়ে চলে সে যেন পুথিবীর বহু প্রস্থ কীটেরই নকলে । সাধারণত আমরা দূরত্ব গনি মাইল বা ক্রোশ হিসাবে, নক্ষত্রদের সম্বন্ধে তা করতে গেলে অঙ্কের বোঝা দুৰ্বহ হয়ে উঠবে। সূর্যই তো আমাদের কাছ থেকে যথেষ্ট দূরে, তার চেয়ে বহু লক্ষগুণ দূরে আছে নক্ষত্রের দল, সংখ্যা দিয়ে তাদের