পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নক্ষত্ৰলোক 3次〉 প্রায় ছশোটা কালো আকাশ প্রদেশ দেখা দিয়েছে। বার্নার্ড অনুমান করেন এগুলি অস্বচ্ছ গ্যাসের মেঘ, ওর পিছনের তারাগুলিকে ঢেকে রেখেছে। কোনোটা কাছে, কোনোটা দূরে, কোনোট ছোটো, কোনোট। প্রকাণ্ড বড়ো । নক্ষত্ৰলোকের অনুবতী আকাশে যে বস্তুপুঞ্জ ছড়িয়ে আছে তার নিবিড়তা হিসাব করলে জানা যায় যে সে অত্যন্ত কম, প্রত্যেক ঘন ইঞ্চিতে আধ ডজন মাত্র পরমাণু। সে যে কত কম এই বিচার করলে বোঝা যাবে যে বিজ্ঞান পরীক্ষাগারে সব চেয়ে জোরের পাম্প দিয়ে যে শূন্তত স্থষ্টি করা হয় তার মধ্যেও ঘন ইঞ্চিতে বহু কোটি পরমাণু বাকি থেকে যায় । আমাদের আপন নাক্ষত্ৰলোকটি প্রকাণ্ড একটা চ্যাপট। ঘুরপাক-খাওয়া জগৎ, বহু শত কোটি নক্ষত্রে পূর্ণ। তাদের মধ্যে মধ্যে যে আকাশ তাতে অতি সূক্ষ্ম গ্যাস কোথাও বা অত্যন্তবিরল, কোথাও বা অপেক্ষাকৃত ঘন, কোথাও বা উজ্জ্বল, কোথাও বা অস্বচ্ছ । সূর্য আছে . এই নাক্ষত্ৰলোকের কেন্দ্র থেকে দূর প্রাস্তে একটা নাক্ষত্রমেঘের মধ্যে । নক্ষত্রগুলির বেশি ভিড় নীহারিকার কেন্দ্রের কাছে । অ্যান্টারেস নক্ষত্রের ব্যাস উনচল্লিশ কোটি মাইল, আর সূর্যের ব্যাস আট লক্ষ চৌষট্টি হাজার মাইল । সূর্য মাঝারি বহরের তারা ব’লেই গণ্য । যে নাক্ষত্ৰজগতের একটি মধ্যবিত্ত তারা এই সূর্য, তার মতো এমন আরো আছে লক্ষ লক্ষ 8