*?br বিশ্ব-পরিচয় ছাড়া-পাওয়া গ্যাসপুঞ্জ হতেই গ্রহের উৎপত্তি ; হয়তো সূর্য একসময়ে এই রকম নতুন তারার রীতি অনুসারে আপন উৎসারিত বিচ্ছিন্ন অংশ থেকেই গ্রহসন্তানদের জন্ম দিয়েছে । এ মত যদি সত্য হয় তাহলে সম্ভবত প্রত্যেক প্রাচীন নক্ষত্রেরই একসময়ে একটা বিস্ফোরণের দশা আসে, আর গ্রহ-বংশের স্বষ্টি করে । হয়তো আকাশে নিঃসন্তান নক্ষত্র অল্পই আছে । দ্বিতীয় মত এই যে, বাহিরের একটা চলতি তারা পরস্পরের টানের এলেকার মধ্যে এসে পড়ে ঘটিয়েছে এই প্রলয় কাণ্ড । এই মত অনুসারে পৃথিবীর উৎপত্তির আলোচন৷ পরে করা যাবে । অামাদের নাক্ষত্ৰজগতে যে সব নক্ষত্র অাছে তা’র নানা রকমের । কেউ বা সূর্যের চেয়ে দশ হাজার গুণ বেশি অালে। দেয়, কেউ বা দেয় একশো ভাগ কম । কারো বা পদার্থপুঞ্জ অত্যন্ত ঘন, কেহ বা নিতান্তই পাতলা । কারো উপরিতলের তাপমাত্র। বিশ ত্রিশ হাজার সেন্টিগ্রেড পরিমাণে, কারো বা তিন হাজার সেন্টিগ্রেডের বেশি নয়, কেউ বা বারে বারে প্রসারিত কুঞ্চিত হোতে হোতে আলে। উত্তাপের জোয়ার ভাটা খেলাচ্ছে, কেউ বা চলেছে এক একা, কারাও বা চলেছে জোড় বেঁধে, তাদের সংখ্যা নক্ষত্রদলের একতৃতীয়াংশ । জুড়ি নক্ষত্রেরা ভারাবতনের জালে ধরা পড়ে যাপন করছে প্রদক্ষিণের পালা। জুড়ির মধ্যে যার জোর কম প্রদক্ষিণের দায়টা পড়ে তারই পরে। যেমন সূর্য আর পৃথিবী। অবলা