পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নক্ষত্ৰলোক ( \ পুথিবী যে কিছু টান দিচ্ছে না তা নয় কিন্তু সূর্যকে বড়ে বেশি বিচলিত করতে পারে না। প্রদক্ষিণের অনুষ্ঠানটা এক সম্পন্ন করছে পৃথিবীই । যেখানে দুই জ্যোতিষ্ক প্রায় সমান জোরের সেখানে উভয়ের মাঝামাঝি জায়গায় একটা লক্ষ্য স্থির থাকে, দুই নক্ষত্র সেটাকেই প্রদক্ষিণ করে। এই জুড়ি নক্ষত্র হোলো কী ক’রে তা নিয়ে আলাদা আলাদা মত শুনি । কেউ কেউ বলেন এর মূলে আছে দসু্যবৃত্তি। অর্থাৎ জোর যার মুলুক তার নীতি অনুসারে একটা তারা অার একটাকে বন্দী ক’রে আপন সঙ্গী ক’রে রেখেছে। অন্যমতে জুড়ির জন্ম, মূল নক্ষত্রের নিজেরই অঙ্গ থেকে । বুঝিয়ে বলি । নক্ষত্র যতই ঠাণ্ডা হয় ততই তাট হয়ে ওঠে । এমনি ক’রে যতই হয় ঘন ততই তার ঘুরপাক হয় দ্রুত। সেই দ্রুতগতির ঠেলায় প্রবল হোতে থাকে বাহির-মুখে বেগ । গাড়ির চাকা যখন ঘোরে খুব জোরে তখন তার মধ্যে এই বাহির-মুখে বেগ জোর পায় ব’লেই তার গায়ের কাদা ছিটকে পড়ে, আর তার জোড়গুলো যদি কাচ থাকে তাহলে তার অংশগুলো ভেঙে ছুটে যায়। নক্ষত্রের ঘুরপাকের জোর বাড়তে বাড়তে এই বাহিরমুখো বেগ বেড়ে যাওয়াতে অবশেষে একদিন সে ভেঙে দুখান৷ হয়ে যায়। তখন থেকে এই দুই অংশ দুই নক্ষত্র হয়ে যুগল যাত্রায় চলা শুরু করে । কোনো কোনো জুড়ির প্রদক্ষিণের এক পাক শেষ করতে লাগে অনেক হাজার বছর । কখনো দেখা যায় ঘুরতে ঘুরতে