পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭ર বিশ্ব-পরিচয় তিন হাজার গুণ বেশি । সেই জন্তে বেঁটে তারাগুলো মাপে হয় ছোটো, তাপে কম হয় না, ওজনের বাড়াবাড়িতেও বড়োদের ছাড়িয়ে যায়। সীরিয়স নক্ষত্রের একটি অস্পষ্ট সঙ্গী তারা আছে। সাধারণ গ্রহের মতো ছোটো তার মাপ, অথচ সূর্যের মতো তার বস্তুপুঞ্জের পরিমাণ। সূর্যের ঘনত্ব জলের দেড়গুণের কিছু কম, সীরিয়সের সঙ্গীটির ঘনত্ব গড়ে জলের চেয়ে পঞ্চাশ হাজার গুণ বেশি। একটা দেশালাই বাক্সের মধ্যে এর বাষ্প ভরলে সেট ওজনে পঞ্চাশ মোণ ছাড়িয়ে যাবে। আবার পর্সিয়ুস নক্ষত্রের খুদে সঙ্গীটির ঐ পরিমাণ পদার্থ ওজনে হাজার দশেক মোণ যাবে পেরিয়ে । আবার শুনতে পাওয়া যাচ্ছে কোনো কোনো বিজ্ঞানী এ মত মানেন না । পুথিবীর যখন নতুন গড়ন পিটন হচ্ছিল তখন জলে স্থলে ঘন ঘন পরস্পরের প্রতিবাদ চলছিল, আজ যেখানে গহবর কাল সেখানে পাহাড়, কিছুকাল থেকে প্রাকৃত বিজ্ঞানে এই দশা ঘটিয়েছে । কত মত উঠছে আর নামছে তার ঠিকানা নেই। আমাদের নাক্ষত্র জগতের নক্ষত্রের দল কেউ পুবের দিকে কেউ পশ্চিমের দিকে নানা রকম পথ ধরে চলেছে। সূর্য দৌড়েছে সেকেণ্ডে বারো মাইল বেগে, একটা দানব তারা আছে তার দৌড়ের বেগ সেকেণ্ডে সাতশো মাইল । কিন্তু আশ্চর্যের কথা, এদের মধ্যে কেউ এই নক্ষত্ৰজগতের শাসন ছাড়িয়ে বাইরে উধাও হয়ে যায় না। এক বাক৷ টানের মহা জালে বহুকোটি নক্ষত্র বেঁধে নিয়ে এই জগৎট। লাঠিমের মতে।