পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌরজগৎ Wり(h টুকরোগুলি থেকেই গ্রহদের উৎপত্তি ; পৃথিবী তাদেরই মধ্যে একটি। এরা ক্রমশ আপন তেজ ছড়িয়ে দিয়ে ঠাণ্ডা হয়ে গ্রহের আকার ধরেছে । আকাশে নক্ষত্রের দূরত্ব, সংখ্যা ও গতি হিসাব ক’রে দেখা গেছে যে প্রায় ৫৬ হাজার কোটি বছরে একবারমাত্র এরকম অপঘাত ঘটতেও পারে । গ্ৰহসৃষ্টির এই মত মেনে নিলে বলতে হবে যে গ্রহপরিচরওয়ালা নক্ষত্রস্থষ্টি এই বিশ্বে প্রায় অঘটনীয় ব্যাপার । কিন্তু ব্ৰহ্মাণ্ডের অণ্ড-গোলকসীমা ফেঁপে উঠতে উঠতে নক্ষত্রেরা ক্রমশই পরস্পরের কাছ থেকে দূরে চলে যাচ্ছে এ মত যদি স্বীকার করতে হয় তাহলে পুর্বযুগে আকাশগোলক যখন সংকীর্ণ ছিল তখন তারায় তারায় ঠোকাঠুকির ব্যাপার সদা সর্বদ। ঘটত ব’লে ধরে নিতে হয় । সেই নক্ষত্র মেলার ভিড়ের দিনে অনেক নক্ষত্রেরই ছিন্ন অংশ থেকে গ্রহের উৎপত্তিসম্ভাবনা ছিল একথা যুক্তিসংগত। যে অবস্থায় আমাদের সূর্য অন্ত সূর্যের ঠেলা খেয়েছিল সেই অবস্থাট। সেই সংকুচিত বিশ্বের দিনে এখনকার হিসাবমতে দূর সম্ভাবনীয় ছিল ন৷ ব’লেই মনে করে নিতে হবে । র্যারা এই মত মেনে নেননি তাদের অনেকে বলেন যে, প্রত্যেক নক্ষত্রের বিকাশের বিশেষ অবস্থায় ক্রমশ এমন একটা সময় আসে যখন সে পাকা শিমুল ফলের মতো ফেটে গিয়ে প্রচণ্ডবেগে চারিদিকে পুঞ্জ পুঞ্জ অগ্নিবাষ্প ছড়িয়ে ফেলে দেয় । কোনো কোনো নক্ষত্র থেকে হঠাৎ এরকম জ্বলন্ত গ্যাস বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে । ছোটে। একটি নক্ষত্র ছিল, কয়েক বছর আগে তাকে ভালে৷ (t