পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌরজগৎ ૭૧ ছিল এদের উভয়ের উপাদান সামগ্রী। এই বাষ্পস্থত্রের যে অংশ সূর্যের প্রবল টানে আটকা পড়ে গেল সেই বন্দী-করা গ্যাসের থেকেই জন্মেছে আমাদের গ্রহমণ্ডলী । এর আয়তনে ছোটে ব’লেই ঠাণ্ডা হয়ে আসতে দেরি করলে না ; তাপ কমতে কমতে গ্যাসের টুকরোগুলো প্রথমে হোলো তরল, তারপর আরও ঠাণ্ডা হোতেই তাদের শক্ত হয়ে ওঠবার দিন এল । একথা মনে রেখে। এ সকল অানদাজি মতকে নিশ্চিত প্রমাণের মধ্যে ধরে নেওয়া চলবে না । বলা আবশ্যক, সূর্যের সমস্তটাই গ্যাস । পুথিবীর যে সব উপাদান মাটি ধাতু পাথরে শক্ত, তাদের সমস্তই সূর্যের মধ্যে প্রচণ্ড উত্তাপে আছে গ্যাসের অবস্থায় । বর্ণলিপিযন্ত্রের রেখাপাত থেকে তার প্রমাণ হয়ে গেছে । কিরীটিকার অতি সূক্ষ্ম গ্যাস-আবরণের কথা পূর্বেই বল। হয়েছে । সেই স্তর পেরিয়ে যত ভিতরে যাওয়া যাবে, ততই দেখা দেবে ঘনতর গ্যাস এবং উষ্ণতর তাপ । সূর্যের উপরিতলের তাপ প্রায় দশহাজার ফারেনহাইট ডিগ্রির মাপে, অবশেষে নিচে নামতে নামতে এমন স্তরে পৌছব যেখানে ঠাস গ্যাসের আর স্বচ্ছতা নেই। এই জায়গার তাপ এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ ডিগ্রির চেয়ে বেশি । অবশেষে কেন্দ্রে গিয়ে পাওয়া যাবে সাত কোটি বিশ লক্ষ ডিগ্রির তাপ । সেখানে সূর্যের দেহবস্তু কঠিন লোহা পাথরের চেয়ে অনেক বেশি ঘন অথচ গ্যাসধর্মী । সূর্যের দূরত্বের কথাটা অঙ্ক দিয়ে বলবার চেষ্টা না করে