পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভূলোক

আরো বেশি ভারি জিনিস আছে ধরে নিতে হবে। কেবল যে উপরকার চাপেই তাদের ঘনত্ব বেড়ে গেছে তা নয় সেখানকার বস্তুপুঞ্জের ভার স্বভাবতই বেশি।

 পৃথিবীকে ঘিরে আছে যে বাতাস তার শতকরা ৭৮ ভাগ নাইট্রোজেন, ২১ ভাগ অক্সিজেন। আর আর যেসব গ্যাস আছে সে অতি সামান্য। অক্সিজেন-গ্যাস মিশুক গ্যাস, লোহার সঙ্গে মিশে মরচে ধরায়, অঙ্গারপদার্থের সঙ্গে মিশে আগুন জ্বালায়—এমনি ক’রে বায়ুমণ্ডল থেকে নিয়ত তার অনেক খরচ হোতে থাকে। এদিকে গাছপালারা বাতাসের অঙ্গারাম্ল-গ্যাসের থেকে নিজের প্রয়োজনে অঙ্গার আদায় করে নিয়ে অক্সিজেনভাগ বাতাসকে ফিরিয়ে দেয়। এ না হোলে পৃথিবীর হাওয়া অঙ্গারাম্ল-গ্যাসে ভরে যেত, মানুষ পেত না তার নিশ্বাসের বায়ু।

 আকাশের অনেকটা উচু পর্যন্ত হাওয়ার বেশি পরিবর্তন হয়নি। যেসব গ্যাস মিশিয়ে হাওয়া তৈরি তাদের অনেকটাই আরো অনেক উচুতে পৌঁছয় না। খুব সম্ভব সবচেয়ে হালকা দুটো গ্যাস অর্থাৎ হেলিয়ম এবং হাইড্রোজেনে মিশোনন। সেখানকার হাওয়া।

 বাতাসের ঘনত্ব কমতে কমতে ক্রমশই বাতাস অনেক উর্ধ্বে উঠে গিয়েছে। বাহির থেকে পৃথিবীতে যে উল্কাপাত হয় পৃথিবীর হাওয়ার ঘর্ষণে তা জ্বলে ওঠে, তাদের অনেকেরই

১০৭