পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিশ্বপরিচয়

আবার নেগেটিভের ভিড়-বাহুল্যওয়ালা রেশমে টান পড়ল কঁচের দিকে। কঁচ বা রেশমে সাধারণতন্ত্র যখন অক্ষুন্ন ছিল তখন আপনাতে আপনি ছিল সহজ, ছিল শান্ত। শান্ত অবস্থায় এদের মধ্যে বৈদ্যুতের অস্তিত্ব জানাই যায়নি। বাইরে বৈদ্যুতিক গৃহবিপ্লবের খবর তখনি বেরিয়ে পড়ল যেমনি ভাগাভাগির অসমানতায় ক্ষোভ জন্মিয়ে দিলে।

 কাঁচ কিংবা অন্য কিছুর থেকে ঘষাঘষির দ্বারা সামান্য পরিমাণ ইলেকট্রন সরিয়ে নেবার কথা বলেছি। পরিমাণটা কত যদি বিজ্ঞানীকে জিজ্ঞাসা করা যায় তিনি সামান্য একটু ঘাড় নেড়ে বলবেন, ঘষড়ানির মাত্রা অনুসারে চল্লিশ পঞ্চাশ ষাট কোটি হোতে পারে। বিজলি বাতির সতে-তারের ভিতর দিয়ে ইলেকট্রনের ঠেলাঠেসি ভিড় চলতে থাকে তবেই সে জ্বলে। তারে এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্তে যতগুলি ইলেকট্রন একসঙ্গে যাত্রা করে আমাদের গণিতশাস্ত্রে সেই সংখ্যার কী নাম আছে আমি তা তো জানিনে। যাহোক এটা দেখা গেল যে, অতিপরমাণুদের দুরন্ত চাঞ্চল্য পজিটিভ নেগেটিভে সন্ধি করে সংযত হয়ে আছে তাই বিশ্বে আছে শান্তি। ভালুকওয়ালা বাজায় ডুগডুগি, তারি তালে ভালুক নাচে, আর নানা খেলা দেখায়। ডুগডুগি ওয়ালা না যদি থাকে পোষমানা ভালুক যদি শিকলি কেটে স্বধর্ম পায় তাহলে

২৬