পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিশ্বপরিচয়

অজানা শক্তির অস্তিত্ব ধরা দিল। তার বিকিরণকে নাম দেওয়া হোলো মহাজাগতিক রশ্মি, কসমিক রশ্মি। বলা যেতে পারে আকস্মিক রশ্মি। কোথা থেকে আসছে বোঝা গেল না কিন্তু দেখা গেল সর্বত্রই। কোনো। বস্তু বা কোনো জীব নেই যার উপরে এর করক্ষেপ চলছে না। ধাতুদ্রব্যের পরমাণুগুলোকে ঘা মেরে উত্তেজিত করে দিচ্ছে। হয়তো এরা জীবের প্রাণশক্তির সাহায্য করছে, কিংবা বিনাশ করছে—কী করছে জানা নেই, আঘাত করছে এইটেই নিঃসংশয়।

 এই যে ক্রমাগতই কসমিক রশ্মি বর্ষণ চলেছে এর উৎপত্তির রহস্য অজানা রয়ে গেল। কিন্তু জানা গেছে বিপুল এর উদ্যম, সমস্ত আকাশ জুড়ে এর সঞ্চরণ, জলে স্থলে আকাশে সকল পদার্থে ই এর প্রবেশ। এই মহা আগন্তুকের পিছনে বিজ্ঞানের চর লেগেই আছে, কোনদিন এর গোপন ঠিকানা ধরা পড়বে।

 অনেকে বলেন কসমিক আলো আলোই বটে, র‍্যণ্টগেন রশ্মির চেয়ে বহুগুণে জোরালো। তাই এরা সহজে পুরু সীসে বা মোটা সোনার পাত পার হয়ে চলে যায়। বিজ্ঞানীদের পরীক্ষায় এটুকু জানা গেছে এই আলোর সঙ্গে আছে বৈদ্যুত কণা। পৃথিবীর যে ক্ষেত্রে চৌম্বকশক্তি বেশি এরা তারি টানে আপন পথ থেকে সরে গিয়ে মেরুপ্রদেশে

৪২