পাতা:বিশ্বভারতী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গ্রন্থপরিচয়

কার্যের আরম্ভ হয়।’ বিগত ২৩ ডিসেম্বর [১৯২১] ৮ পৌষ [১৩২৮]••• বিশ্বভারতীর সাংবৎসরিক••• সভায় বিশ্বভারতী পরিষদ্ গঠিত হয় এবং বিশ্বভারতীর জন্য যে সংস্থিতি (constitution) প্রণীত হইয়াছে তাহা গৃহীত হয়’ —এই তারিখই বর্তমানে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাদিবস বলিয়া স্বীকৃত; এই দিন ‘সর্বসাধারণের হাতে তাকে সমর্পণ’ করা হয়।


 বিশ্বভারতীর সূচনা হইবার পর, ১৯১৯ খৃস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে নিমন্ত্রিত হইয়া The Centre of Indian Culture প্রভৃতি প্রবন্ধে শিক্ষার সম্বন্ধে তাহার আদর্শ ব্যাখ্যা করেন। ‘আমাদের দেশে শিক্ষার আদর্শ কী হওয়া উচিত সে সম্বন্ধে আমার প্রবন্ধ আমি কলিকাতায় এবং অন্য অনেক শহরে পাঠ করিয়াছি। বিষয়টি এত বড়ো যে আমাদের এই ছোটো পত্রপুটে তাহা ধরিবে না। সংক্ষেপে তাহার মর্মটুকু এখানে বলি।’ এই ‘মর্ম’ শান্তিনিকেতন পত্রের ১৩২৬ বৈশাখ সংখ্যায় ‘বিশ্বভারতী' নামে প্রকাশিত হয়; উহাই বর্তমান গ্রন্থের প্রথম প্রবন্ধ।


 ‘শিক্ষাকে কেমন করিয়া সত্য এবং প্রাণের জিনিস করা যায়’ এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের নানা

১৭১