পাতা:বিশ্বভারতী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিশ্বভারতী

তাহার বিষয় ও আশয়ের মধ্যে ভারতবর্ষ নিতান্তই সংকুচিত ও প্রচ্ছন্ন হইয়া আছে। বিদ্যাসারের মধ্যে ভারতবর্ষের প্রতি এই আস্থার অভাব, এই সম্মানের অভাব যে কিরূপ গভীরভাবে আমাদের মনকে আত্ম-অবিশ্বাসের মধ্যে চিরদিনের মতো মজ্জিত করিয়া দিতেছে সে কথা ভালো করিয়া বুঝিয়া দেখিবার পর্যন্ত শক্তি আমরা হারাইয়াছি। মৈসুরে আমাদের ভরসার বিষয় অনেক দেখিয়াছি তাই এখনও এই আশা মনে রাখিলাম যে••• একদিন মৈসুরের বিশ্ববিদ্যালয়ে পশ্চিমের বাণীর সঙ্গে আমাদের ভারতীর একাসনে মিলন ঘটিবে— কিন্তু সেই আসনটি হইবে ভারতীরই আসন।’

—মৈসুরের কথা, শান্তিনিকেতন, বৈশাখ ১৩২৬

 ‘ভারতবর্ষের নানা স্থানেই নৃতন নূতন বিশ্ব বিদ্যালয় স্থাপনের চেষ্টা চলিতেছে। ইহাতেই বুঝা যায় শিক্ষা সম্বন্ধে আমাদের মনে একটা অসন্তোষ জন্মিয়াছে।•••

 ‘বর্তমান শিক্ষাপ্রণালীটাই যে আমাদের ব্যর্থতার কারণ, অভ্যাসগত অন্ধ মমতার মোহে সেটা আমরা কিছুতেই মনে ভাবিতে পারি না। ঘুরিয়া ফিরিয়া নৃতন বিশ্ববিদ্যালয় গড়িবার বেলাতেও প্রণালী বদল করিবার কথা মনেই আসে না, তাই নূতনের ঢালাই করিতেছি সেই পুরাতনের ছাঁচে। নূতনের জন্য

১৭৩