বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ঈশাসংকট

কাছে রোজ-কে রোজ পাঁচ মোহর পারিতোষিক[] আদায় করে আনন্দ করা মায়া-পাগলের ভাগ্যে ঘটে না। মনে পড়ে কবি ইকবালের উপদেশ—“আমিকে হারানো দুরে থাক্, তাকে এমন টনটনে চৈতন্যে তুলতে হবে যাতে সে বিশ্বকে নিজের ভিতর টেনে নিতে পারে।”

 আর একটা দেখা যাচ্ছে এই,—সংঘশক্তি যতবার সংস্কারবদ্ধ জীবকে সমবায়ে মিলিয়ে বড়ো করতে গেছে, ততবারই তাদিকে ঘূর্ণিপাকে ফেলে নিজেও তার মধ্যে আটকে গিয়ে, ত্রাণের চেষ্টায় ভঙ্গ দিতে হয়েছে। এখন ঈশার যা কিছু আশাভরসা মানুষের মতো মানুষ নিয়ে কারবার ক’রে।

 মানুষ দুই ধারার মধ্যিখানে এসে পড়েছে। বুদ্ধি-খাটানো ছেড়ে দিয়ে সে বাপদাদার আমলের ক্রিয়াকাণ্ড নিয়ে চোখবাঁধা বলদগিরিও করে থাকে, আবার নিজের নিত্যনতুন সৃষ্টির আনন্দে আলো হতে আরো আলোয় উড়ে বেড়াতেও পারে। তার লক্ষীনারায়ণ লাভের তিন যুগের ব্যর্থ চেষ্টার কথা তো বলা হয়েছে,—এবার বা মানুষের ঈশার গুণপনার শেষ পরীক্ষা—কল্কি অবতার USS-Rকে দিয়ে তিনকেলে বাজে সংস্কারের জাল ঝেড়ে ফেলে যদি লক্ষ্মীনারায়ণের উপযুক্ত আসন পেতে রাখতে পারে। নইলে অস্ত্রঝন্‌ঝনানির আওয়াজে মানুষ দিকবিদিক জ্ঞান হারিয়ে, বর্বর অবস্থায় দৌড়ে ফিরে যাবে। পাকা ঘুঁটিকে কেঁচে গাদ থেকে আবার বেরোতে হবে।

 পুরোনো আবর্জনা বিদায়ের কথা যদি তোলা গেল, তবে একটা বিধান নেওয়া দরকার।

 পুরাকালে উৎপেতো অসুরের জ্বালায় অস্থির হলে দেবতারা বাঁচাও, বাচাও! বলে চণ্ডীদেবীকে কাকুতিমিনতি করতেন। এ কালের

১০১


  1. পাঁচ ইন্দ্রিয়ের দানকে সাধক রবিদাস এই ভাবে নিতেন।