মনপ্রাণের উৎকর্ষ
নেতারা যাকে ডাকেন, চতুরা-রূপে অ-সহযোগ সাজেই আসুন, আর নিজ-মূর্তিতে রণসজ্জায়ই আসুন, তিনি সেই চণ্ডীই বটেন, রেহাই দেবার পাত্র তিনি নন। কোনো না কোনো ভাবে তাঁর আবির্ভাব না হলে প্রকৃতির গলতিই হোক, আর মানুষের বদমায়শিই হোক, তা থেকে নিষ্কৃতি পাবার উপায় দেখা যায় না।
তাই জিজ্ঞেস করি, যে শত্রুরা কখনো লুকিয়েচুরিয়ে কখনো বা হাঁকডাক করে, মাঝে মাঝে সমীকরণ যজ্ঞবেদি নষ্ট করতে আসে, তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ক্ষত্রতেজ প্রকাশ করে যজ্ঞ রক্ষার চেষ্টার দরুন USSR-কে আদর্শভ্রষ্ট পাষণ্ড বলে গাল পাড়া চলে কি।
মানুষের সঙ্গে মানুষের কালক্রমে রফারফি হলেও হতে পারে; গোছগাছের হিকমতে মানুষ হয়তো বা নির্বিবাদে পরস্পর-উপকারী জীবজন্তু গাছপালা দিয়ে ক্রমশ নিজেকে ঘেরাও করে রাখতে পারবে; কিন্তু হিংসাকে কি একেবারে বাদ দিতে পারা যাবে। অন্তত ধুলো থেকে, জল থেকে, হাওয়া থেকে, কলেরা-ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড-ইনফ্লুয়েঞ্জার যত রোগবীজকে মেরে সারা না করলে, “মধুবাতা ঋতায়তে, মধু ক্ষরন্তি সিদ্ধবঃ...মধুমৎ পার্থিবংরজঃ...” এই মন্ত্র দিয়ে মানুষ নিজের সংঘশক্তির প্রতি সত্যিকার শ্রদ্ধা জানাতে পারবে না।
শত্রুমিত্রের নিন্দেপ্রশংসার বাড়াবাড়ির কুয়াশা ভেদ করে পরের পালায় USSR-এর মনের ভাবের কতকগুলি স্ন্যাপ্শট্ ছবি নেবার চেষ্টা করা যাবে।
১০২