বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

চতুর্থ পালা

প্রবাসী-গ্রামবাসী সংবাদ

মহাভাঙন তন্ত্র

 বিপ্লবের প্রথম পঞ্চবার্ষিক সংকল্পে চাষাদের উপর হাত পড়েনি। শ্রমিকদের মধ্যে ওরাই সবচেয়ে অবুঝ, সবচেয়ে পুরোনোর গোঁড়া। তা ছাড়া, তখনো বাইরের শত্রুর আক্রমণ পুরোদমে চলেছে। এ অবস্থায় দেশসুদ্ধ লোককে ঘাঁটালে সামলানো মুশকিল হত।

 ১৯৩০ সালের গোড়ায় বিপ্লবীকর্তারা সময় বুঝে উপদেশ জারি করলেন, “এখন চাষাকেও বিপ্লবের মধ্যে নিজের স্থান ঠিক করে নিতে হবে, তাই এবারকার পঞ্চবার্ষিক সংকল্প শেষ না হতেই, বাপপিতামহের ধারা ছেড়ে, নিজের জমিবাড়ি, নিজের গোরুভেড়ার মায়া কাটিয়ে গ্রামসমবায়ের (kolhoxy) মধ্যে তাদের আত্মসমর্পণ করা আবশ্যক।”

 কর্তাদের বিধান অনুসারে, এই সমবায়ই গ্রামের সব কাজ চালাবে। একসঙ্গে গুছিয়ে কলের সাহায্যে চাষবাস পশুপালন করলে আগের চেয়ে ফল অনেক বেশি পাওয়ার কথা, তাই দিয়ে সমবায়ীদের জীবনযাত্রা ভালোমতে চালিয়েও যা বাঁচবে সেটা দেশের অভাব পূরণের জন্যে কর্তৃপক্ষের হাতে থাকবে। তাতে পল্লীবাসীরও অবস্থার উন্নতি হবে, রাষ্ট্রমধ্যে অসাম্য ক্রমে আর থাকবে না।

 সমবায়ভুক্ত হতে যাদের নেহাতই মন সরবে না, তাদের উপর জবরদস্তি করার হুকুম হয়নি; তারা নিজেদের পরিবার পালনের জন্যে একটি গোরু বা ঘোড়া, গুটিকতক ছাগল ভেড়া বা শুয়োর রাখতে পারার ব্যবস্থা হল। কিন্তু সমাজে তাদের মানমর্যাদা থাকবে না, সমবায়ভাণ্ডারে সস্তায় কেনার অধিকার তারা পাবে না; তা ছাড়া, এ

১০৩