প্রবাসী-গ্রামবাসী সংবাদ
ভাবে রাখা সম্পত্তির মূল্য অনুসারে তাদিকে একলসেঁড়ে টেক্স দিতে হবে।
কিন্তু পরের মেহনতে নিজের দরকারের অতিরিক্ত চাষআবাদ করিয়ে, বা পশু রেখে, বা কারবার চালিয়ে বিনাশ্রমে আরামের চেষ্টা একেবারেই মানা। এটা অপরাধের মধ্যে গণ্য। এরকম কুধনী (koolack) ধরা পড়লে, তার সম্পত্তি সরকারে বাজেয়াপ্ত হয়ে তাকে নিধনী (de-koolackise) করে দিয়ে, যেখানে নতুন আবাদ করা হচ্ছে সেখানে তাকে সপরিবারে মজুরি করতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
মরিস হিণ্ডাস (Maurice Hindus) একজন নামজাদা লেখক। তাঁর জন্ম রুশের এক গণ্ডগ্রামে। ১৪।১৫ বছর বয়সে ঘরবাড়ি ছেড়ে তিনি মার্কিন দেশে গিয়ে বসবাস করেন; সেখানেই কৃতী হন। কিন্তু দেশের উপর তাঁর টান যায়নি, তার সব খবর তিনি রাখতেন।
বিপ্লব শুরু হলে, সেই প্রবাসী জন্মভূমিতে বেড়াতে এসে বুঝতে পেরেছিলেন যে, রুশের মাটির সঙ্গে চিরকাল লেপ্টে আছে যে-চাষী, এ মহা নাটকে তাকেই প্রধান পাত্র হতে হবে, যদিও তখনো ভূমির স্বত্বাধিকার নিয়ে আইনের টানাটানি পড়েনি। পরে মার্কিন দেশে ফিরে গিয়ে তিনি যখন বিপ্লবীকর্তাদের মহাভাঙন তন্ত্র—স্টালিন নাম দিয়েছিলেন দি গ্রেট ব্রেক (The Great Break) প্রচারের সংবাদ পেলেন, তাঁর মন বড়োই খারাপ হয়ে গেল।
এই নিরীহ কৃষক জাতের উপর ইতিহাসের কী সাংঘাতিক ধাক্কাটাই এসে পড়ল। এক ঠেলায় সেকাল থেকে একালে লাফিয়ে আসা, রাজশক্তির আশ্রয় ছেড়ে আত্মশক্তির উপর এসে পড়া, সম্রাট আমলের শত-অত্যাচার সহ্য করেও যে বাস্তুটুকু জমিটুকু আগলে এসেছে, অবশেষে সে সব অনভ্যস্ত সমবায়ের হাতে ইচ্ছে-দুখে সঁপে দেওয়া—
১০৪