বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রবাসী-গ্রামবাসী সংবাদ

 এবার চেনালোকের পাড়ায় এসে পড়েছি। চারিদিক থেকে— “এসো, এসো, একটু বসে যাও, একপাত্র দুধ খেয়ে নাও",—সমাদরের ডাকাডাকি চলল। তাদের অনুরোধ এড়িয়ে শেষে ছেলেবেলার এক বন্ধুর বাড়ি গিয়ে উঠলাম। আমাকে পেয়ে স্বামীস্ত্রী দুজনেই মহা খুশি, তাড়াতাড়ি নিজের নিজের কাজ সেরে নিয়ে দুধ পনীর ডিমহালুয়া সাজিয়ে খেতে বসিয়ে দিলে। সেখানেই রাত কাটালাম।

গ্রাম্য বৈঠক

 পরদিন রবিবার, সকলেরই ছুটি। রাস্তায় বেরিয়ে দেখি প্রবাসী ফিরে আসার খবরে অনেকে আমায় দেখতে আসছে, তাছাড়া ছুটি বলেও রাস্তায় লোকের আনাগোনা বেশি। কামারের বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গাটায় কাটা গাছের গুঁড়ির উপর আমরা সব আড্ডা করে বললাম।

 সমবায়ে সব কিছু দিয়ে থুয়ে যে নিঃস্ব (Bedniak) হয়েছে, বিপ্লবীহিসেবমতো সেই মান্যগণ্য; যে অসমবায়ী গৃহস্থ নিজে আলাদা খাটে খায় (Seredniak) সে মাঝামাঝি; যে পরকে খাটিয়ে নিজে আলস্যের আরামে থাকার চেষ্টা করে সে হয় কুধনী (koolack)। কিন্তু গ্রামসমাজে এসব শ্রেণীভেদের চিহ্ন দেখা গেল না; এখানে মাত্র দুই দল—যারা সমবায়ের পক্ষপাতী, আর যারা সমবায়ের বিরোধী।

 মার্কিন দেশের গল্প শোনাবার জন্যে আমায় সবাই ধরে বসল।

 আমি কিন্তু সে আবদার কাটিয়ে বললাম, “না, সে হবে না। আমি তোমাদের কথা শুনতে এসেছি, তোমরাই সব বলো।” সব দলের লোক আছে দেখলাম—যার যা মতামত জেনে নেবার এমন সুযোগ ছাড়ি কেন।

১১২