গ্রাম্য বৈঠক
বুড়ো। তোমাদের মতো লক্ষ্মীছাড়া নিঃস্ব হয়ে ঘুরে বেড়ানো সব চেয়ে ভালো—না?
যুবক। ভালো নয় তো কী। আমরা ভালো খাই পরি, পরস্পরের সুখদুখের ভাগ নিই, পরদেশেরও খবর রাখি, মানুষের জীবন কেমন হওয়া উচিত তাই নিয়ে ভাবনা চিন্তে করি, সেই মতো চলে বেঁচে সুখ পাই।
অনেকে। ঐ সমবায়ের গোঁড়া আসছে। এসো মাসী। তুমি তো সমবায়কে স্বর্গ মনে কর। প্রবাসী ভায়াকে সব বলো না।
মাসী। হাঁ, ঘণ্টা-নাড়ার স্বর্গ বটে। ঘণ্টায় ওঠো, ঘণ্টায় খাটো, ঘণ্টায় খাও, ঘণ্টায় শোও—ঘণ্টা না পড়লে মা-হারা পাখিছানার মতো চিঁ চিঁ করতে থাকো।
এক রসিক। মাসী দেখছি বাজনাবাদ্যি ভালোবাসে না।
সকলে হেসে উঠল।
মাসী। সত্যি কথা, ঘণ্টার বাজনায় নেচে বেড়াতে ভালোবাসিনে। পরশু দিন কাজে মন লাগল না, চৌপরদিন পড়ে ঘুমোলাম। কাল খিধে হল, পাঁচ বার খেলাম। সমবায়ে থাকলে আমার জন্যে পাঁচ বার ঘণ্টা পড়ত?
সকলে। সাবাস, মাসী, সাবাস।
সমবায়ী যুবক। যখন ফসল কাটা হবে, তোমরা ভালো খাও, কি আমরা ভালো খাই দেখা যাবে।
বুড়ো। ভারি তো বাহাছরি। দেশের যত ভালো জমি ঘোড়া গোরু তোমাদের সমবায় নিয়ে বসে আছে। কাঠ চাও, কলের লাঙল চাও, টাকা হাওলাত চাও, সদর থেকে তখনি যুগিয়ে দিচ্ছে। আমরা
১১৫