পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী-গ্রামবাসী সংবাদ তার জন্তে যদি সম্রাট আমলা জমিদার পাদ্রী সবই সরাতে হল, তবে কুধনীর শেষ রাখলেই বা চলবে কেন। বিপ্লব আমাদের পিঠে হাত বুলোতে আসেনি, মানুষ করতে এসেছে। কর্মীরা দেবতা নয় যে তো জানা কথা,—মানলাম মাঝে মাঝে বাড়াবাড়ি করে বসে ; কিন্তু ধরা পড়লে উপর থেকে সাজা তো পায় । এমন সময় এসে পড়ল ফিটফাট পোশাক বুট-জুতো-পরা সদরের প্রচারক, গ্রামে গ্রামে যারা সমবায় পত্তন করে বেড়াচ্ছে, তাদের এক জন। ওকে দেখে সকলে একটু শশব্যস্ত হয়ে পড়ল বটে, কিন্তু বিরক্ত হল না, ভালোভাবেই আমার সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দিলে । সে দাড়িয়ে দাডিয়েই আরম্ভ করে দিলে—“কী গো । নাকে কান্না হচ্ছিল বুঝি। বেশ, বেশ, প্রাণ ভরে কাছুনি গাও। দেখুন, প্রবাসী মশায়, এরা সব শিশু ও দিনে খুব করে কেঁদে না নিলে রাতে ভালো ঘুম হয় না। - “শোনো হে, হতভাগা অসমবায়ী যারা আছ । আমার কথাগুলো একটু মন দিয়ে শুনে যাও। বলি, তোমরা কী দুখে টুকরো টুকরো জমিগুলো এখনো ধরে আছে। এই মার্কিন ভদ্রলোকের সামনেই বিচার হোক, ইনিও শুকুন। বছরে বছরে বুড়োর সরে যাচ্ছে, রেখে যাচ্ছে অমেক ছেলে, জমির ভাগ ছোটাে থেকে আরো ছোটাে হতে চলেছে। আলে আলে কত জমি গেয়ে যায় সেট হিসেবে আন কি । আর আজকাল হল কলের যুগ, আল থাকলে কলের লাঙলের সুবিধে পাও না। পুরোনোর মায়া কাটাতে পারছ না, শেষটা কি আমার, আমার বলে বাড়ি আঁকড়ে না খেয়ে মরবে। \ Nob,