বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রবাসী-গ্রামবাসী সংবাদ

 “রাত ভোর বকাবকি, চোখের জল ফেলাফেলি চলল, শেষে সকলের মন খোলসা হয়ে গেল, পরস্পরের প্রতি আড় ভাব রইল না। সবাই মিলে স্থির করলাম—ভালো মনে সমবায়ী হব। শুধু জমি কেন, বাড়িঘর জানোয়ার আসবাবপত্র, নিজের বলে আর কিছুই রাখব না, সত্যিকার নিঃস্ব হয়ে বলব—যা করে সমবায়।

 এ রকম কাজ আধা-খেঁচ্‌ড়া করা কিছু নয়, ইস্‌পার নয় উস্‌পার! তাই আমরা খালি হাতে পরিষ্কার মনে সমবায়ে যোগ দিলাম।

 “সবই সুখের হয়েছে, তা মিথ্যে করে বলব কেন। সমবায়ের হাত এখনো পাকেনি, কিছু ঢিলেমি আছে, কিছু বা নষ্টামি, অনেক গলতি আছে যেগুলো মাঝে মাঝে পীড়া দেয়। আগেকার মতো ভালো খেতে পরতে পাই, তাও নয়। দেখছ তো খালি পায়ে আছি, জুতো বাঁচিয়ে না চললে শীতকালে করব কী।

 “কিন্তু দুঃখের কথাই বা এমন কী আছে। এই পুরোনো বাড়ির দুটি ঘরে আমাদিগকে থাকতে দিয়েছে। দুধ রুটি যথেষ্ট দেয়, মাঝে মাঝে ডিম পাই, হপ্তায় একদিন মাংস,—পুষ্টির কম্‌তি নেই।

 “আসল লাভ হয়েছে কী জান? হৃদয়ের খিল খুলে গেছে, মনের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছি। আমার সেই একার বাড়ি এখন কত লোককে আশ্রয় দিচ্ছে। তাদের ছেলেপিলের সঙ্গে খেলা করে যে আনন্দ পাই, তার রস আগে জানাই ছিল না।—এই তো ব্যাপার, বুঝলে হে ভায়া।”

১২৪