পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পাল৷ দরিদ্রনারায়ণের মোহভঙ্গ বেদের গল্প যুরোপে-এলিয়ায় পৃথিবীর ষষ্ঠাংশ-জোড়া প্রকাও রুশমহাদেশে যুগান্তর হওয়ার আগে, তার প্রায় সাত ভাগের এক ভাগ ছিল মরু, তাও বাড়তেই চলেছিল। মরু বলতে জনশূন্ত জলহীন বালি ধৃ ধূ করার ছবি মনে আসে। আসলে, কিন্তু, দৃশ্বট তত ফাৰুণ নয়। USSRএর কথা যখন হচ্ছে, তখন রুশের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা-চওড়া “কারা-কুম” (কালো বালি ) মরুর কথাটাই ধরা যাক । উপরে তো বালি, কিন্তু কিছু দূর খুড়লে তলার ভিজে মাটি বেরিয়ে পড়ে। ও দেশের বর্ষা হয় বসন্তকালে, সে সময় বালির উপর এখানেওখানে কাটা-ঘাস, ডাটা-সার-সরু পাতার গাছ,এ রকম কিছু কিছু উদ্ভিদ গজায়। চেপটা-গড়নের বাঁকুড়া পাতার বাহার দিতে গেলে গাছের ঘড়া ঘড়া জল খাওয়া লাগে, এমন জায়গায় তা তো জোটে না । ঢেউখেলানো বালির খোদলে বর্ষার জল জমে, তাতে দেখা দেয় পাকের মাছ ; আর উপরে কুিলৰিল করে বেলে সাপ। মাছগুলো কাদার মধ্যে থেকে মুখ বাড়িয়ে সোজাসুজি হাওয়ার নিশ্বেল টানতে শিখেছে, আর সাপগুলো বালিতে সাতরে বেড়ানো অভ্যেস করেছে। মরুজীবিকে মরুভূমির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। যেমন উট, কাটা খেয়ে জল না খেয়ে চালিয়ে দেয় ; বেলে রঙের সিংহকে তার খাদ্যসম্বন্ধীদের ঠাওর হয় ন, নইলে তারা পালিয়ে বাচত, সিংহ অনাহারে মরত। মামুষের মধ্যে, ঘুরঘুরে তুৰ্কীবেদের দল বসন্ত-বর্ষার মন্থমে এই ס\כי