প্রবাসী-গ্রামবাসী সংবাদ
কি মনে সুখ থাকে। নিজের বললে যদি দোষ হয়, তবে নিজের উপর নিজের সম্পত্তির উপর ভিতরে ভিতরে এত মায়া কেন।”
বুড়োর কথার ছিরিতে ছেলেদের হাসি চাপা দায় হল।
গোপিকা-কর্ত্রীর কথা
নিকটের আর-এক সমবায়-সম্পাদকের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হল—একটু ভারিক্কি ধরনের লোক। তাঁর বড়ো সাধ তাঁদের পরিদর্শিকার সঙ্গে আমার আলাপ হয়। সেই উপলক্ষ্যে একদিন আমাকে তাঁদের আস্তানায় নিয়ে গেলেন।
সেখানে পৌঁছে দেখি লাল-ফিতে বাঁধা এক মাথা বাবড়িকাটা চুল নিয়ে একটি মজবুত চেহারার ১৮ বছর বয়সের মেয়ে এক মস্ত কালো গোরুর দুধ দুইতে বসেছে। মেয়েটির নাম বীরা (Vera)। তার দুধ— দোয়ায় আশ্চর্য কিছুই নেই, সমবায়তে দুহিতার কাজ মেয়েকেই দিয়ে থাকে।
“এই আমাদের কর্ত্রী”—বলে সম্পাদক আলাপ করিয়ে দিলেন।
“সামান্য গোয়ালিনীকে লজ্জা দেন কেন।”—মেয়েটি এই উত্তর দিতে না দিতে, আমাদের চেহারা দেখেই হোক, আর গলার আওয়াজ শুনেই হোক, গোরুটা চমকে উঠে দুধের বালতিটা উলটে পালটে বীরার কাপড় ছিঁড়ে দিলে।
সম্পাদক ব্যতিব্যস্ত হয়ে আক্ষেপ করে উঠলেন—“আহা, বাছা রে! বেচারীর কাপড়ের বড়ো টানাটানি, তার উপর আজকাল ভাণ্ডারে ভালো কাপড় পাওয়াই যায় না।”
এদিকে বীরা তো ছেঁড়া কাপড় ধরে অন্তর্ধান হল। সেই ফাঁকে সম্পাদক আমাকে তার বৃত্তান্ত কিছু শুনিয়ে দিলেন।
১৩০