গোপিকা-কর্ত্রীর কথা
আমি ভাবলাম আচ্ছা ছেলেমানুষের পাল্লায় পড়েছি। বয়স না ধরতেই একে নেত্রী বানিয়ে দিলে কোন্ বুদ্ধিতে।
সম্পাদক একটু হেসে বললেন, “একে যদি খুশি করতে চাও তাহলে বলে দাও পৃথিবীময় বিপ্লবের আয়োজন লেগে গেছে।”—পরে, আমাদের দুজনকে বসিয়ে রেখে তিনি নিজের কাজে চলে গেলেন।
তাঁর শেষ কথার প্রতিবাদ করে বীরা বলে উঠল, “বাজে কথা কে শুনতে চাচ্ছে। সত্যি যা, তাই বলুন। মার্কিন দেশের শ্রমিককে তো কম উৎপীড়ন সইতে হয় না, তবে সে কেন ভোম্বলদাসের মতো চুপচাপ বসে আছে।
আমি বুঝিয়ে বললাম, যেসব মধ্যবিতেরা ধনীর খায় পরে, ধনীর দৌলতে বিলাসে থাকে, তারা দলে এত ভারি, তাদের অস্ত্রশস্ত্র রসদের যোগাড় এত বেশি, শ্রমিকেরা জানে বাদাবাদি করলে পেরে উঠবে না, তাই বিপ্লব পর্যন্ত এগোয় না।
বীরা। আমার তা বিশ্বাস নয়। বল পরীক্ষায় নামলে শ্রমিকের জয় হবেই হবে। সে যাই হোক, মার্কিন দেশের আরো অনেক কথা জানতে ইচ্ছে করে, আপনি সব বলুন।
আমি। বিশেষ করে কোন্ কথাটা শুনতে চাও, বলো।
রীরা। এই ধরুন না, আমার বয়সী মার্কিন মেয়েরা কী করে।
আমি। স্কুল-কলেজে যায়, বই পড়ে, আমোদ আহ্লাদ করে।
বীরা। রোজগার করে না?
আমি। আজকাল অনেকে তাও করে।
বীরা। সে কথা ভালো। মেয়েরা নিজের জোরে না থাকলে তাদের গতিমুক্তি নেই। কিন্তু আপনাদের মেয়েরা আর কী করে বলুন।
আমি। কেউ কেউ রবিবারে গির্জেয় যায়।
১৩৩