প্রবাসী গ্রামবাসী সংবাদ
বীরা। তাতে কী হয়।
আমি। মনে শান্তি পায় বোধ করি।
বীরা। চারদিকে যেখানে অশান্তি, নিজের মনে শান্তি পাওয়াটা কি বড়ো জিনিস। সেদিন চাষীদের বৈঠকে বলছিলাম—তোমাদের এই পিশু-ছারপোকা ভরা বাড়ি ছেড়ে সমবায়ে এসে মানুষের মতো থাকতে শেখো। তাতে তারা বললে—আমরা এইভাবেই বেশ শান্তিতে আছি।—নিজের বাড়ি, নিজের ধন নিজের শান্তি, এ কথাগুলোর উপর আমার ঘেন্না ধরে গেছে। কিন্তু আপনাদের মেয়েদের বিষয়ে আসলে যা জানতে চাচ্ছি, তাই বলছেন না, তাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী।
আমি। উদ্দেশ্য তারা নিজেরাই।
বীরা হতভম্ব হয়ে আমার দিকে ড্যাবড্যাবে চোখে খানিকক্ষণ চেয়ে রইল, “আপনি কি বলতে চান তারা নিজে বই আর কিছু জানে না। মার্কিন সমাজে কুসংস্কার কুপ্রথা কিছু নেই, দীন দুঃখী বিপন্ন উৎপীড়িত নেই, যাদের জন্যে মেয়েদের কিছু করতে ইচ্ছে যায়?”
আমি। সে রকম ইচ্ছে তো বড়ো একটা দেখতে পাইনে।
বীরা। কী আশ্চর্য। আমার অমন জীবন হলে হাঁপিয়ে মারা যেতাম—মনে হত কোন অকুলে হারিয়ে গেছি। বিপুল ভবে আমি একা—কী সর্বনাশ। সে শিউরে উঠল।
এমন সময় বাড়িভাঙা কাঠকাঠরা-বোঝাই গাড়ি সামনের রাস্তা দিয়ে আসছে দেখে বীরা গাড়োয়ানকে হেঁকে কিছু শিষ্টালাপ করে, পরে আমায় বললে, “পাশের গ্রামে কুধনীদের বাড়ি ভাঙা হল, তারি মালমসলা কর্তারা এ গ্রামকে দান করেছেন তাই নিয়ে আমাদের গাড়ি ফিরল।”
কুধনীর বাড়ি ভাঙা শুনে, মনে যে দুঃখ নিয়ে দেশে এসেছিলাম
১৩৪