বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

চতুর্বর্গের ফলবিচার

আবার রায় যে দেয় আর রায় যে শোনে, এদেরও ভাব মেশামেশি না হয়ে যায় না। ভাবের মতো সূক্ষ্ম জিনিস নিয়ে নাড়াচাড়া করতে গেলে তা হবেই। কিন্তু তাতে দোষই বা কী। শেষে যে ভাব ফুটে ওঠে সেটা যদি উপাদেয় হয়, তাহলে কার মনে কতখানি ছিল তাই নিয়ে ঘোঁট না করে তাকে পরমানন্দে আত্মসাৎ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

 চতুর্বর্গ বলতে কী বোঝায়, তাও আগে থেকে ঠিক করে নেওয়া মন্দ নয়। মান্ধাতার আমলের এইসব কথার আজকাল মা-বাপ নেই, যে যেমন খুশি ব্যবহার করে। তাই কথকের মানেটা শ্রোতার কাছে প্রথমেই গেয়ে রাখা ভালো; আখর দেওয়ার সময় তাহলে ভুল বোঝাবুঝির ভয় থাকবে না।

 এই দেখো না কেন, আজকাল আমাদের দেশে বল, আর যে দেশেই বল, ধর্ম বলতে বোঝায় কাড়াকাড়ি করার, অন্তত মানুষ থেকে মানুষকে তফাত রাখার একটা ছুতো। সমীকরণের কথা ভালো মনে বলতে শুনতে বসে ধর্মের সে মানে নিয়ে আমরা কী করব। যাতে ধরে রাখে সেই ধর্ম—ভারতবর্ষে আগে চলতি এ মানে তো বেশ ছিল। কোন্ কোন্ ভাব USSR-কে বজায় রেখেছে, শক্তি যোগাচ্ছে, সে ভাব অন্তেরও কাজে লাগতে পারে কিনা, ধর্মের বর্গে তাই বোঝার চেষ্টা করা যাবে।

 তার পর হল, অর্থ। এ কথাটা এমন হাত-পা ছড়িয়ে বসেছে, যাতে লাগাও তাতেই লাগে। আপাতত ওকে সম্পত্তির উপর আটকে রাখলে আমাদের কথার সুবিধে হবে। ব্যক্তির পক্ষে সম্পত্তি অনর্থের কারণ, সে বিষয়ে হিন্দু আচার্যের সঙ্গে USSR-এর একমত। এখন দেখতে হবে, USSR এর নববিধানে সমবায়ের হাতেও সম্পত্তি পরমার্থের ব্যাঘাত করছে কি না। এটাও দেখার বিষয়, ব্যক্তিকে সম্পত্তিছাড়া আর লক্ষ্মীছাড়া করা এক কথা হয়ে দাঁড়ায় কি না, ঐহিক

১৪০