চতুর্বর্গের ফলবিচার
পণ্ডিতী চালে আলোচনায় বসলে না-বোঝার অন্ধকার ঘনিয়ে আসার ভয়, তাই সাদা ভাবেই কথা পাড়তে হবে।
মানুষমাত্রেই মুক্তিপথের যাত্রী, পদে পদে পুরোনোর খোলসযুক্ত হয়ে তাজা জীবনে পা বাড়াতে না পারলে সে জেয়ান্তে মরা হয়ে থাকে। কিন্তু বাকির বছর দিয়ে নয়, কাজ দেখে বুঝতে হয় মুক্তির পথে কে কতটা চলতে পেরেছে। মুখে “বসুধৈব কুটুম্বকম্,”—কাজে একে ছুঁইনে, ওর পাশে বসিনে, তার হাতে খাইনে: চাই “মনের মানুষকে,”—সামনের মানুষের সুখদুঃখ মনে লাগে না; যাব আনন্দধামে,—বিধাতার নিত্যদানের রস তৃপ্তি ক’রে গ্রহণ করতে জানিনে, এই কি মুক্তির পথে এগোবার চেহারা।
USSR এর নরনারীরা নানা সমবায়ের মধ্যে সংঘবদ্ধ হওয়ায় তারা অদ্ভুত এক পত্তন “আমি, আমার”, থেকে “আমাদের” বড়ো কোঠার মধ্যে মুক্ত হয়েছে। এখন দেখার, ভাবার এইটুকু বাকি যে, সংঘে জড়িয়ে পড়ে, নিজত্ব হারিয়ে, ব্যক্তির চরম বিকাশের বাধা কিছু ঘটছে কি না। এই আলোচনার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চতুর্বর্গের বিচারও সাঙ্গ হবে।
ধর্ম এব হতো হন্তি
বিপ্লবের আগে, রুশ ভক্তির দেশ, ভক্তের দেশ, ধন্যরাজার পুণ্যপ্রজার দেশ বলে য়ুরোপে তার নামডাক ছিল। Kiev-নগর ছিল রুশের কাশী, পাহাড়ে উপত্যকায় বনে-বাগানে মিলিয়ে অতি মনোরম স্থানে পত্তন করা। সেখানে কিবা মঠ মন্দির পাণ্ডা-পুরোহিতের ধুম, মন্দির-গির্জের ভিতরে সোনারুপো জহরতের বাহার, ঝলমলে ঝাপ্পাঝোপ্পা-পরা পূজারি-পাদ্রীদের সকালসন্ধ্যে মন্ত্র আওড়ানোর ঘটা, কঠোরতার
১৪২