পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধর্ম এব হতে হস্তি নানাচিহ্নধারী গুহাবালী’ তাপসদের ভিড়, দেহরাখা সাধুলস্তদের সমাধিস্থানের ছড়াছড়ি, ব্যাধিছর পুণ্যভর জলের রকমারি আধার—সে দেশকালের ধারণামতো ধর্মের যা-কিছু তোড়জোড় দরকার, কোনোটারই ক্রটি ছিল না। আর তেমনি বিনয়ে-ইেট-মাথা, যা-বল-তাই-সই-গোছের নিষ্ঠাবান প্রজার দল। তারাই মাথার-ঘাম-পায়ে-ফেলা রোজগারের ভাগ যুগিয়ে এই বিরাট ধর্মব্যাপার বজায় রেখেছিল। রোগশোক শাস্ত করার প্রয়োজন বোধ করলে, কিম্বা লালদিনে পুণ্যসঞ্চয় করার ঝোক চাপলে, ছেলে-বুড়ো-স্ত্রীলোক মিলে তারা লাঠিহাতে বেঁচেকার্কাধে, পায়ে হাটতে হাটতে এই সব মঠ মন্দিরে লাখে লাথে গড় করতে যেত; ইষ্টমূর্তির সামনে বাতি চড়াত ; মৃতসন্তদের তুলে রাগ গায়ের কাপড়ে চুমে থেত ; পাণ্ডীপাদ্রীর কাছ থেকে পবিত্র জল কিম্বা আশীৰ্বাদ কিনে আনত । সেখানকার বিগ্রহদের পশুরক্তে রুচি ছিল না বটে, তবে তাদের কাছে বর আদায়ের আশায় ছোটোবড়ো মোমবাতি থেকে আরম্ভ করে দামী দামী গয়না পর্যন্ত মানত করা হত,— তা অপরকে ঠকানো, জবাকরা, পীড়া দেওয়ার বর চাইলেও সে সব অমায়িক বিগ্রহবুন্দের বিরক্তির কোনো লক্ষণ প্রকাশ পেত না । কয়েকটি করে গ্রাম মিলিয়ে একটা করে গির্জে, আর সেই সঙ্গে একটি পাদ্রীবাবাজি (batushka ) বরাদ্দ ছিল—তাদেরও খরচ অবশু চাষাভুষোকেই বইতে হত । সাধারণ প্রজার তুলনায় থাকার বাড়িটা ১ মাটির তলায় হরঙ্গের মধ্যে অসংখ্য গুহা ছিল, যেখানে তাপসের কালক্ষেপ করত ; তাকে জীবনযাপন বলা যায় কি না সন্দেহ। ১ সপ্তদের আবির্ভাৰ তিরোভাবের পর্বদিন খ্রীস্টান পাজিতে লাল অক্ষরে লেখা। Ջ8ՎԶ