পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্বর্গের ফল বিচার দেশবাসীকে খাড়া করে তোলার জন্তে বিপ্লবী কর্তারা সেই আফিম বন্ধ করলেন, তাতে পুরোনো নেশাখের যারা ছিল তাদের কিছু কষ্ট হল বটে, কিন্তু ধর্মনষ্ট হওয়ার অভিযোগটা আমাদের কানে কিছু অদ্ভুত শোনায়। মামুষে মামুষে প্রীতির যোগসাধন চলে কর্মের কৌশল, কর্মের সুফল, কর্মের আনন্দ সবই বাড়ে তা শাস্ত্রেও লেখে, কাজেও দেখা যাচ্ছে। তবে ধর্মের বাকি থাকে কী। যদি বল বাকি রইলেন ভগবান! তৰে সে কথাটা একটু ভাবতে হয়। - ভগবানকে ডাকার কত কৌশল মামুষে বার করেছে—মনে জপ, হাতে জপ, লিখে জপ, এমনকি তিব্বতী কায়দায় জলের স্রোতে কল ঘুরিয়ে জপ ; মন্ত্র উচ্চারণের বিড়বিড়, গুনগুন, হুংকার ছাড়ার আওয়াজ, কাশর ঘণ্টার কানে-তালা-লাগানো আওয়াজ, ঢাকঢোলের আকাশফাটানে আওয়াজ ; কিন্তু এত করেও আমাদের মতে সিধে বুদ্ধির দর্শকের মনে সেই সন্দেহ জাগতে থাকে,—“ভগবানই বাকি রইলেন বুঝি।” কোনো কল্পিত রূপকে সারাদিন চোখের সামনে ধরলে, মামুষের দেওয়৷ যে-কোনো নামকে অষ্টপ্রহর আওড়াতে থাকলে, তাতে তো ভগবানকে জবরদস্তি হাজিরও করা যায় না, তাকে আনার সামিলও হয় না। অনেক সময় দেখা যায়, তিনি যখন স্বয়ং নিজমুর্তি ধরে আসেন, আমরা চিনতেই পারিনে। তবে তার আগমন সম্বন্ধে নিঃসন্দেহ হবার এক লক্ষণ ঋষি বাতলে দিয়েছেন,– “র্তার সাক্ষাতের আনন্দ যিনি পেয়েছেন, তিনি কখনো কিছুতে ভয় পান না।” রুশের বিপ্লবী গ্রামবাগীদের আমরা যেটুকু পরিচয় পেয়েছি, তাভে ওদের মধ্যে পরস্পর প্রীতির অভাব দেখা যায় না, আলগা আলগা থেকে ধ’লে পড়বার লক্ষণ কিছু নেই। দলে দলে ভেদ, জাতে জাতে ভেদ, S 85'