বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ত্যক্তেন ভুঞ্জীথা

 ব্যক্তির হাতে সম্পত্তি রাখা নয়, কিছুতেই নয়, এই হল USSR-এর প্রধান নিষেধ। সম্পত্তি বলতে তাঁরা বোঝেন আবশ্যকের অতিরিক্ত জমানো মূলধন[] যা দিয়ে পরকে খাটিয়ে নিজের বিলাস বাড়ানো যায়। সংসারে কারো অতিরিক্ত কারো অভাব হয়েই থাকে। যার যা উদ্বৃত্ত সবই থাকা উচিত সমবায়ের হাতে, যার যা অভাব পুরিয়ে সামঞ্জস্য রাখার জন্যে। দরকারের বেশি ধনে লোভ না রাখলে ঝঞ্ঝাট চিন্তা অনেক বেঁচে যায়, অতিরিক্ত উৎপন্ন মাল গতাবার গোলামচোরের খোঁজে ফিরতে হয় না। প্রত্যেকে অতিরিক্তের লোভ ত্যাগ করে সকলের সম্ভোগের বিধিমতো ব্যবস্থা করা, এই হল আদর্শ।

 USSR দেখে শুনে বুঝে সাব্যস্ত করেছেন, মূলধন এক জনের হাতে জমতে দিলেই তাতে রিপুর বীজ এসে বসে, স্বার্থপরতার সার পেয়ে বেড়ে ওঠে, শেষটা সমাজকে গ্রাস করে। মূলধনের জড় মেরে দিলে, ধনী-দরিদ্রের ভেদ; প্রবল-দুর্বলের আহার-বিহারের ভেদ; স্ত্রীপুরুষের আর্থিক অবস্থার ভেদ,—এ সব ঘুচে গিয়ে সমাজ পরিষ্কার হয়ে যাবে; দলে, দলে, জাতে জাতে, মানুষে মানুষে আর ঝগড়া লাগবে না, মানবহৃদয়ের যে স্বাভাবিক মৈত্রী তাই বিরাজ করবে।

 ক্ষমতা অনুসারে[] সকলকেই শ্রম করতে বাধ্য হওয়ায় শরীর মন তো সুস্থ থাকবেই; তাছাড়া, পরের চাপে কি নিজের লোভে অতিরিক্ত খাটুনিতে শরীর না ভাঙলে, অনিশ্চিত অন্নের দুশ্চিন্তায় শুখিয়ে যেতে না হলে, পরস্পরের সুখ বাড়াবার চেষ্টায় নতুন জ্ঞান লাভ, নতুন নতুন সম্পদ দৃষ্টি করার যথেষ্ট অবসর থাকবে।


১৫০

  1. নিজের বা পরিবারবর্গের দরকারী জিনিস ভাঁড়ারে জমা রাখতে মানা নেই।
  2. পালোয়ানকে দিয়ে কলার চর্চা, কিম্বা ভাবুককে দিয়ে লাঙল চালানো, কাজের এমন অদ্ভুত বাঁটোয়ারা হবে না, বলাই বাহুল্য