ত্যক্তেন ভূঞ্জীথা
না, আমাদের আনন্দের লজ্জত বাড়াবার জন্যে সেকেলে ধর্মজীবীদের বাসী-বচনের পালিশ আবশ্যক নেই।”
আমরা গোড়ায় প্রশ্ন তুলেছিলাম—সমবায়ের হাতে সম্পত্তি থাকায় ব্যক্তিগত আর্থিক ঔদাসীন্য, পারমার্থিক উন্নতির বাধা হয় কি না। সম্পাদকের কথা যা শোনা গেল, তাতে বেশ বোঝা যায়, নিজের উন্নতির সঙ্গে সকলের উন্নতি জড়িয়ে গেলে ব্যক্তির উৎসাহ কম পড়ে না। যদি বল এ তন্ত্রে মার্কিন দেশের মতো অত বড়ো বড়ো কারখানা জন্মায় না, তার উত্তরে বলতে হয় USSR-এর সব কারখানাই তো এক প্রকাণ্ড কারখানার শাখা, সুতরাং আয়তনের দিক থেকে ধরলেও একদল নেতার হাতে এত বড়ো আয়োজন আর কোথাও দেখা যায় না।
কিন্তু আমরা সাবধান করে দিয়েছিলাম যে, লক্ষ্মীর প্রসাদ বড়ো মজার জিনিস, তাকে ওরকম স্থূলভাবে মাপলে ঠকা হয়। তুলনা করতে হলে একদিকে রাখো প্রত্যেক সমবায়ীর কাছে সকলের আনন্দের যে ভাগ পৌঁছয়; অন্যদিকে রাখো সেই সমবায়ীর নিজের শ্রমের ক্লেশ। দাঁড়িপাল্লা তুলে ধরলেই মজাটা বেরিয়ে পড়বে। প্রথম দিকে দেখবে আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিলে গণিতের নিয়ম মানে না, কমে না গিয়ে বেড়ে যায়। অন্যদিকে সুস্থ সবল শরীর দুশ্চিন্তারহিত মন দিয়ে যে শ্রম করা যায় তাতে তো ক্লেশই থাকে না, সেও আনন্দের পাল্লায় গিয়ে বসতে চায়।
এ চমৎকার ব্যাপার দেখো আর মনের আনন্দে জয়জয়কার করো। কার জয়? যে আনন্দ দিচ্ছে, যে আনন্দ পাচ্ছে, তোমার আমার মতো যারা সে আনন্দদৃশ্য দেখছে, সব উপরে যিনি আনন্দের মূল উৎস সকলেরই জয়।
পারমার্থিক উন্নতির কথা আর বেশি বাকি কি। বোঝাই তো গেল,
১৫৫