পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্বর্গের ফল বিচার এই সবই বুদ্ধির আড়ালে আদি-রিপু লোভের কেরামতি। রিপুটির ছদ্মবেশ ভেদ করে চিনে নিতে পারলে তার জারিজুরি আর খাটে না। জঠরের আগুন ওস্কাতে গিয়ে চিতার আগুনট অকালে টেনে আন না হয়, নিজের দাত দিয়ে নিজের গোর না খোড়া হয়, সে বিষয়ে মামুষে সাবধান হয়ে আসছে । আগে আগে ব্যায়ামেৰাড়ানো শরীরের বছর দেখিয়ে লোকে আস্ফালন করতে ভালোবাসত, এখন বুঝেছে মাংসপেশী ফোলাতে গিয়ে হৃৎপিণ্ড ফেল পড়তে পারে । প্রভূত্ব যতই মিষ্টি লাগুক, আজকাল বিপ্লবের ছায়া যেখানে-সেখানে যেরকম উকিঝু কি মারছে, তাতে যা রয়সয় তারি মধ্যে কতৰ্গর নিজেকে সংবরণ করতে শিখছে । কিন্তু নরনারী-সমস্যা সভ্যতার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তো বাড়ছেই,— তার মানে ওটা এক রিপুর পাকানো ফ্যাসাদ নয়, ওতে মিত্রেরও হাত আছে। এ রকম জটিল জিনিসকে ছাড়িয়ে দেখা দরকার, নইলে জটের প্যাচে বুদ্ধিটাও জড়িয়ে যেতে পারে । হ’লে কী হবে, এ সমস্তার কথা উঠলে লোকে হয় গদগদ, নয় জড়সড়, নয় আগুন হয়ে ওঠায় ওর খেইগুলো আলাদা ক’রে ধরাই যায় না। আচ্ছা, হয় না তে কী হয়েছে, আমরাই ঠাও মনে বিচার করলেই তো চুকে যাবে। রিপুর হাত কোথায় ভাবতে গেলে দেখা যায়, নারীকে নরের সম্পত্তি বানিয়ে দিয়ে সে এক আঁচড়েই কর্ম সারা করেছে। এখন সমাজের যে স্তরেই দেখ, সেই অঘটনের ক্রিয়া চলছে। আক্ষরিক স্তরে পুরুষটা প্রণয়িনীকে ঘাড়ে ধরে নিজের আড্ডায় টেলে নিয়ে যায়, সেখানে তাৰে দিয়ে দাসীগিরি, রাধুনি-গিরি, মা-গিরি সব করায়। স্ত্রীলোকটা ভতর্ণর কাছে পেটভ্যতা পায়, তাছাড়া সে এটাও ৰোঝে যে, ছুটে থেকে পশুপতির থাবা খাওয়ার চেয়ে মায়ব "ל 6 כי