দরিদ্রনারায়ণের মোহভঙ্গ
কিন্তু বিখ্যাত রুশীয় লেখক (এম্ ইলিন্)[১] সম্রাটের মোহর-বসানো হুকুমনামার নম্বর তারিখ ধরে দিয়েছেন—নং ১১৬৭, ৬ই জুন, ১৮৭৩। তা ছাড়া, ভেবে দেখতে গেলে, নিরীহের উপর চোটপাট করে বাহাদুরি নিতে কোন্ পেশাদার বীর কবে কোথায় নারাজ হয়েছে।
চাষার গল্প
ফসলখেতে ফলবাগানে রেলগাড়ি করে জল যোগাতে হলে জমির বিঘে-পিছু আস্ত এক ট্রেন জলের টাঁকি দরকার হত,—ভাগ্যিস্ তা করতে হয় না। তবে রেলেরই মতো বাঁধা পথে জল আসাযাওয়ার চক্কর খায়। আসার লাইন আকাশের ভিতর দিয়ে—সাগর থেকে ডাঙা; ফেরত লাইন মাটির উপর দিয়ে—ডাঙা থেকে সাগর। ফিরতি পথে, নদী বেয়ে যাবার সময়, জলে বিস্তর মাল বোঝাই থাকে,—এঁটেলমাটি, রকম বেরকমের নুন, কিছু কিছু ধাতু, প্রাণীর দেহপুষ্টির কাজে লাগে এমন অনেক জিনিস; শেষে এগুলোকে সমুদ্রে ঢেলে দিয়ে, মেঘ হয়ে, জল আকাশপথে হালকা চলে আসে। ঐ মাল যদি সব-কে-সব সমুদ্রে ফেলা যেত, তাহলে ডাঙার জমি ক্রমশ অসার হয়ে, প্রাণী বাঁচিয়ে রাখার অযোগ্য হয়ে পড়ত। কিন্তু গাছের কল্যাণে ধরিত্রীর সে দশা ঘটতে পায় না।
গাছ করে কী, জল সমুদ্রে যাবার সময় তাকে নিজের মধ্যে একক্ষেপ ঘুরিয়ে এনে দেশের মাটির তেজ বজায় রাখে। এই যে ব্রাঞ্চ লাইন, মাটি—গাছ, গাছ—মাটি, এর ভিতর দিয়ে জল চলার সময় গাছ নানা রকম ক্রিয়া করতে থাকে।
১৬
- ↑ প্রথম দুই পালায় বলা অনেক বৃত্তান্ত এই লেখকের (মেন্ এ্যাণ্ড মাউনটেনস) বই থেকে নেওয়া।