পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্বর্গের ফল বিচার তারপর সেইমতে ছাটাই নারীকে শক্তিরূপিণী বলে হাজার খোশামোদ করলেও, সে কোনো বড়ো কাজ করার শক্তি পাবে কোথেকে। ছেলেকে মেষ না করে মানুষ করা, সংসারকে গারদ না করে লীলাঘর করা, আগামী কতযুগ আবাহনের আয়োজন করা,—নরনারী নিজ নিজ মহিমায় মিললে তবেই এ সবের আশা থাকে, কিন্তু আমরা ঘতগুলি সম্পত্তি-পাগল সমাজ জানি তার মধ্যে সে সম্ভাবনা কোথায় । বলা হয়েছিল নরনারী সমস্তার মধ্যে মিত্রেরও হাত আছে । সে রহস্তটাও এবার খুলে দেখার চেষ্টা দেখা যাক। প্রারম্ভে শ্রোতাকে সেই খাটি প্রেমের কথা মনে করিয়ে দিই, আনন্দলোকের সঙ্গে যে প্রেম মানুষকে যোগ ক’রে রাখে, যার ধারা একেবারে ছেডে গেলে মাহুষ ঘোর অন্ধকারে তলিয়ে যায়। এ প্রেমের প্রকার বা ক্রিয়া এ বর্গের মধ্যে আলোচনা হতে পারে না, তৰে আমাদের কথাটা ফোটাবার জন্যে যেটুকু দরকার তাই বলা যাক। বিশুদ্ধ স্বাধীন ভাবই খাটি প্রেমের বিশেষ লক্ষণ। সংসারের কাজে এ প্রেম আমাদের সহায় নয় ; এর প্রভাবে মা-বাপ সস্তানকে কোলেপিঠে নেয় না, দম্পতি লোহাগ করে না, সস্তান মাবাপের নেওটো হয় না । স্নেহ মমতা ভক্তির সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই,—এক নিছক সখ্যের মধ্যে সংসারে একে দৈবাৎ পাওয়া যায়। গুরু-শিষ্য, জ্যেষ্ঠ-কনিষ্ঠ, নর-নারী এ সব ভেদে এ প্রেমের বাধা ঘটে না, বড়ো জোর রং ৰা গৌরভের কিছু রকমারি হতে পারে। প্রয়োজন বা সম্বন্ধের দাবি এর অন্তরায় । এর আকর্ষণে মানুষ মানুষকে টানে কিন্তু বাধে না । আপাতত আমরা যদি মেনে নিই যে, এ রকম প্রেম কদাচ লাভ হলেও, এখন জগতে আছে, তাহলেই এ বর্গের আলোচনার কাজ চলে যাৰে । যেখানেই পাচরকম সাংসারিক ভালোবাসার সঙ্গে এই মুক্ত প্রেমকে obb e