পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বে মহিম্নি যা হোক, একে একে দেখাই যাক না, সংঘবদ্ধ হলে প্রকৃতির দেওয়া স্বাভাবিক সম্বন্ধগুলোর কী অবস্থা দাড়ায়। আমরা তো দেখেছিলাম, পরিবারের মধ্যে বদ্ধ থাকলে স্নেহের স্বাভাবিক আয়ু ফুলের মতে অল্পকাল স্থায়ী, টেনে রাখতে গেলে ফল খারাপ হয়। সমবায়ের হাতে পড়ে, আয়ু ঠিক রেখেও, পরিসর বাড়িয়ে স্নেহকে বিরাট করে তোলা হয়েছে। যে নারীর যেমন মাতৃতাবের জোর, সে ধাপে ধাপে নিজের ছেলেদের মা, সমবায়ের ছেলেদের মা, রাষ্ট্রের ছেলেদের মা হয়ে উঠতে পারে—তার জন্তে শুধু যে দরজা খোলা তা নয়, সত্যিকার মায়ের সন্ধান পেলে রাষ্ট্রনেতারা তাকে আদর করে ডেকে নিয়ে বড়ো করে তোলেন। সর্বঐশ্বৰ্যসম্পন্ন ভগবানকে তার দেওয়া ভোগ্যবস্তু ফিরে নিবেদন করার যথার্থ তাৎপর্য কী হতে পারে। যে মানুষ প্রসাদের অধিকারী, সে অনধিকারীকে নিজের আসনে তুলে নিয়ে ভাগ দেবার চেষ্টা করলে সেটা বরং বেশ দিলারাম দৃপ্ত হয়। তেমনি, মা-বাপকে সস্তান প্রতিদান কিবা দিতে পারে। মা-বাপের কাছে পাওয়া যা কিছু ভালো জিনিল, স্বদন্থদ্ধ সেগুলো তাবু নিজের ছেলেপিলেকে বুঝিয়ে দিয়ে তবেই তার পিতৃমাতৃঋণ শোধ হতে পারে।—বিপ্লবী বিধানের এই ভাব। আর ভক্তি ?-রাষ্ট্রপতিদের উপর ভক্তির চর্চ যেভাবে চলে চলুক, কিন্তু USSR-এর সমাজে আপনা-আপনির মধ্যে তার জায়গা কোথায় । যেখানে মাথা খাড়া রেখে নরনারী পরস্পরের চোখের দিকে লোজা চাইতে শিখেছে সেখানে সব দৃষ্টিই শুভদৃষ্টি, সেখানে কামভীতু লক্ষণদেওরের মতো ভাজের পায়ের দিকে তাকিয়ে থাকা লাগে না ; সাধনীনাম-পিপালী সহধর্মিণীৰে পতির দেবত্ব তল্লাশে কপালে চোখ ওঠাতেও > ð ግ