পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্বর্গের ফল বিচার হয় না। বিপ্লবীসমাজে পুরুষকে পতি খাড় করা হয়ই না, ছেলেকে মানুষ করে তোলাই মনে করে সাধু-সাধবী উভয়েরই ধর্ম। বিপ্লবী ছেলেমেয়ের মা-বাপের পায়ের ধুলো চায় না, চায় অনেকসওয়া চিত্তের সরলতা, অনেক জানা মগজের সার,—মা-বাপেও তাদিকে তাই দিতেই ভালোবাসেন । যখন জর এলে তাদের পায়ে ধরে, তারা তখন নবীনের হাতে হাল ছেড়ে দিয়ে দ্রষ্টার আসনে নেমে এসে শোভt পান। সে শোভা যে দেখে সে খুশি হয়, ভক্তির কোনো প্রসঙ্গই ওঠে না । শেষ কথা, এ সমাজে প্রণয়ের অবস্থা কী রকম।—খুব সোজা । নারীর দিক থেকে দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যাবে। প্রকৃতির ঠেলায় নারী তো যথাকালে ছেলের বাপ পছন্দ করে নেবে। এ বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধের হাঙ্গণম, বা ভরণপোষণের ভাবনার চাপ না থাকায়, তার লুকোচুরি রংটং কিছুই করা লাগে না, পছনাট স্বেচ্ছায় স্বচ্ছন্দচিত্তে করতে পারে ; তার জন্তে কারে সঙ্গে যেচে আলাপও করতে হয় না, কারণ কর্মস্থত্রে সমবায়ী নরনারীদের নিয়মিত দেখাগুলো মেলামেশা চলতেই থাকে । শেষে যাকে নির্বাচন করে তার সঙ্গে শিষ্টালাপ করে, মিষ্টালাপ করে, বন্ধুত্ব করে, লোহাগ করে ; কিন্তু তাকে স্বর্গের দেবতা মনে ক’রে, বা তার সঙ্গে জন্মজন্মাস্তরের সম্বন্ধ কল্পনা করে, নিজেকে ভোলায় না। পরের পছন্দে বিয়ে করতে হলে যে সকল ভূলভ্রাস্তি আকছার হয়ে থাকে, এক্ষেত্রে সেগুলো থেকে দম্পতি অনেকটা রেহাই পায় ; তবে নিজের কাচা বয়সের বাছাইতেও মাঝে মাঝে গলতি থেকে যায়। তাতে ভয় কী। পর্বতপ্রমাণ ভুল হলেও স্বীকার করলে শুধরে নেওয়া যায়। বার বাইরের চিকনচাৰুন দেখে মনে ধরেছিল, ঘর করার বেলা যদি তার ՖԵԵ