পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্বর্গের ফল বিচার একটা নকশার সাহায্যে আমাদের কথাটা আর একটু ফোটাবার চেষ্টা করা যাক । ছেলেদের খেলার বেলুনের মতো খেলুডেকে কল্পনা করা যাক । লে বেলুনের চামড়া ইলাষ্ট্রক, যত গ্যাস পোরা যায় তত বাড়ে, বাড়লে হালকা হয়ে উপরে উঠতে চায়, গ্যাস কমে গেলে চুপসে মাটিতে পড়ে। বেলুনে শুধু গ্যাস থাকলে তো সে উড়েই যেত, তৈরির সময় কিছু বাজে আবর্জনা থেকে যায় বলে সে ধরায় থাকে । গ্যাসের আধারের সঙ্গে আমাদের এ বেলুনের নল দিয়ে যোগ রাখা আছে, গ্যাসের চাপ বাড়লে কানা যেখানে নলের সঙ্গে আঁটা আছে তার ফাক দিয়ে গ্যাস উথলে বেরোয়। বেশি আঁটা থাকলে তা হয় না, কিন্তু তাহলে নতুন গ্যাল পোরাও যায় না। খেলুড়ে এ রকম সজীব বেলুনের মতো এইটুকু মনে রাখলেই আমাদের নকশার কাজ হবে। এক পক্ষে খেলুড়ে নিজের বুদ্ধিবৃত্তি খেলিয়ে এমনভাবে বাড়তে পারে যে আনন্দলোকের সঙ্গে যে যোগধারা আছে তাতে শোষণের টান পড়ে। অপর পক্ষে আনন্দলোকে এমন ঢেউ উঠতে পারে— হুষ্টির গোড়ায় একবার তরঙ্গ উঠেছিল, আর ওঠে না, এমন তো নয়—যার প্রেরণায় স্রোত খেলুড়ের ভিতর চলে আসতে পারে। যে উপায়েই হোক, খেলুড়ের ভিতরে আনন্দ বেড়ে গেলে সে বড়ো হয়, উপরে ওঠে। সেই সঙ্গে তার পাওয়া আনন্দধারার ভাগ আশেপাশে উথলে পড়ে। এ অবস্থায় ষে যে ঘটনাগুলি ঘটে, একটি একটি করে বুঝে দেখা যাক । যে মামুষের উপরে ওঠার অবস্থা হয়েছে সে যদি বেলুনের মুখ ৰষে বাধার মতো নিজের অবস্থা করে, আশেপাশে খেলুড়ে থেকে ➢ ዓ8