পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্বর্গের ফল বিচার আনন্দধারার যদি যোগ হয়ে পড়ে, তাহলে গুরু-শিষ্য সম্বন্ধ দাড়ায় । শিক্ষার আসনে অনেকে বসেন, তাদের শিষ্যও জুটে থাকে, কিন্তু আননা আদান-প্রদানের সম্বন্ধ না হলে গুরুকে সদগুরু বা শিষ্যৰে সৎশিল্ব ৰল। যায় না । সৎশিষ্যের আগ্রহ আনন্দধারায় দেয় টান, তার আনন্দের খোরাক যোগাতে হয় গুরুকে । ব্যায়ামের গুণে থিধে বাড়ার মতো, শিষ্যকে আননা যোগাবার এই প্রয়োজনই গুরুর উপর-থেকে আনন্দশোষণের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। আনন্দ দানই আনন্দ পাবার উপায়, আনন্দ পাওয়া অারে আনন্দ দানের উপায়, গুরুর লাভ হয়, এই চক্রবুদ্ধি আনন্দধারা । শিষ্যের দিক থেকে দেখলে, তার নিজের ক্ষমতায় যেটুকু সম্ভব হত, গুরুর কাছ থেকে তার চেয়ে প্রবল স্রোতে আনন্দ পাওয়ায়, শিষ্য বেড়ে ওঠে। শেষে ঐ চক্রবৃদ্ধিস্রোতে পুষ্ট হতে হতে শিষ্য গুরুর সমান পদবী পেয়ে যায়, তখন গুরুশিষ্য সম্বন্ধ ঘুচে গিয়ে আসে নিছক মিত্রতা, যার মধ্যে প্রেমের সবচেয়ে বিশুদ্ধ ভাব পাওয়া যায় । গুরু যতক্ষণ উপর-থেকে তেজ টেনে শিষ্যকে যোগাচ্ছেন ততক্ষণ আনন্দলোকের যিনি অধিপতি, আর তারই আনন্দ বিতরণের উপলক্ষ্য যে গুরু, আনন্দদাতা আর আনন্দবাহক, এ দুজনের মধ্যে ভেদজ্ঞান শিষ্যের উপস্থিতমতো লোপ পেতে চায়। অগসলেখ্য কোনো ভেদ থাকত না যদি সোজাসুজি পাওয়ার, আর গুরুর রঙে রঙিয়ে পাওয়ার প্রভেদটা না থেকে যেত। কলকাতার নলের জলে আর গঙ্গার জলে যেমন তফাত থাকত না, যদি মাঝে ফলত জল-কলের পাচৱকৰ কেরামতি না এসে পড়ত। সমান পাত্রের মধ্যে আনন্দধারার যোগ-স্থাপন হলে দুজনের আনন্দ >9%