পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পালান্ত পরিচ্ছেদ প্রতীকার নানা রকমে চেষ্টা করা যায়, — গায়ের জোরে, বাক্যের জোরে, ব্যবহারের জোরে—অনেক সময় সোজাস্থজি মারের চেয়ে বাক্যযন্ত্রণার পীড়া বেশি, আরো কষ্ট দেওয়া হয় সম্পর্ক ছেটে ফেললে। তাই এক মারাকে হিংসা বলে ধরা চলে না। আবার ছোটো মার দিয়ে বড়ো মার থেকে রক্ষে করতে পারলে হিংসার হিসেবে সেটা উলটে দিকে চলে আসে। তা ছাড়া, মারাটা যেন হিংস হল, বিনা প্রতীকারে অসহায়কে মার পেতে দেওয়া, সেটা কি অহিংস। প্রাণ রাখতে সদাই প্রাণান্ত— এ সমস্তার জবাবদিহি প্রকৃতির । - প্রকৃ•ির হাত ছাড়িয়ে উঠে, মানুষের কোনো দল কোনো দেশে নিজেকে উচু পদে তুলতে চেষ্টা করছে, সেটা সারা দুনিয়ার পক্ষে মুখবর। হিংসার ওষুধ যে প্রেম, এ আবিষ্কার ভারতের ; কিন্তু ভারতীয় সমাজকে জাতিভেদ মেনে ব্যক্তিগত স্বার্থের অধীনে চলতে দেওয়ায় সে উপলব্ধি সংসারের কাজে আগেও লাগেনি, আজও লাগতে চাচ্ছে না, রয়ে গেল বচনেই, সে কথা পালার মধ্যেই বলা হয়েছে। সে উপলব্ধির উপযুক্ত নিলোভ কমক্ষেত্র USSR গড়ে তুলছেন বলেই তাদের সঙ্গে লেগেছে লোভপন্থী রাগ সের দল । তাদের বিরুদ্ধে বিশ্বামিত্রের মতো ক্ষত্রিয় তেজকে লাগিয়ে দেওয়া ছাড়া আর উপায় কী। ক্ষত্রপদ্ধতি হচ্ছে— “হয় ক্ষান্ত দাও, নয় অস্ত হও ।” অত্যাচার সহ না করে অক্রোধে প্রাণ দেওয়ার উপদেশ অহিংসাপন্থীদের অমুমোদিত । তেমনি কি ধৰ্মরক্ষার্থে অক্রোধে প্রাণনাশও চর্চ করা যায় না, অসহায়ের গায়ে যে ছুরি তুলেছে উভয়ের প্রতি দয়া করে তার হাতে লাঠি মেরে নিরস্ত করার মতো ? - সব শক্ত সমস্তা মীমাংসা করে USSR-এর ঐহিকপারত্রিক পরিণম সম্বন্ধে রায় দেওয়া আমাদের সামর্থ্যে কুলোবে না। এখন >b/R