বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ভয় নেই

ভনতে ভনতে এ ভাবের কথা মাঝে মাঝে বলতে হয়েছে; সত্যি কথায় কখনো ইষ্ট বৈ অনিষ্ট হয় না তাই বলেছি; তাতে তোমাদের মন খারাপ হবার কিছু নেই। দেশের, জাতের, সমাজের উত্থান পতন লেগেই আছে, পতনের সময় বিষণ্ণ হলে আবার উত্থানের দেরি হওয়া ছাড়া, লাভ কিছু নেই। সে কথা তোমরা প্রত্যেকে মনে রেখো। প্রত্যেক “তুমি” যা করবে তাই জড়িয়ে “তোমাদের” করা হবে।

 তোমার অভিধান থেকে ‘অসাধ্য’ আর ‘নৈরাশ্য’ এই দুটো কথা কেটে দিয়ো। সমস্যা আসে মেটাবার জন্যে; সংকট আসে পার হবার জন্যে; দুঃখ আসে শক্তি জাগাবার জন্যে। রাত যত ঘনিয়ে আসে ঊষা তত এগিয়ে আসে, সে কথা ভুলো না।

 অন্তর্যামী ভর্ৎসনাকে যদি ভয় করে চল, তাহলে জগতে আর কিছুর ভয় থাকবে না,—মৃত্যুরও না; বিশেষত যদি ‘আমার’ জায়গায় সর্বদা ‘আমাদের’ ভাবনা করা অভ্যেস কর। আমি মরলে আমরা সকলে তো মরব না। তোমার জীবনমৃত্যু যদি এমন হয় যে, তাতে তোমাদের সকলের আরো ভালোভাবে বাঁচার সুযোগ হবে, তাহলে সেই সকলের মধ্যে তুমি অমর হয়ে থাকবে।

 পূর্বজন্মের কর্মফল নিয়ে বৃথা মাথা বকিয়ো না। সে বিষয়ে ঠিক জানারও উপায় নেই, তা নিয়ে তোমার করারও কিছু নেই। প্রতি মুহূর্তেই তোমার নবজন্ম, সে মুহূর্তে তুমি স্বর্গে থাকবে কি নরকে থাকবে, সেটা তোমার হাতে। পরকাল নিয়েই বা ভাবনা কেন। ইহকালটা ফুরলে তবে না পরকাল। যে কালে আছ, সেই বতর্মান কালটা ভালো করে কাটাতে পারলে, ভাবীকাল আপনিই সামলে যাবে।

 ভালো করে কাল কাটানো কাকে বলে। পদে পদে “তোমার” এবং

১৮৭