খেলার ভাব
খেলানেওয়ালাদের সঙ্গে তো বটেই, নইলে তাঁর সঙ্গে যোগ ছুটে গিয়ে, তলিয়ে বা পথ ভুলে, খেলাটা হারে না শেষ হয়।
প্রথম দিক থেকে বিচার করার সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা নিয়ে আমরা আখর দিয়েছিলাম। পাশ্চাত্ত্য ভাষায় বিজ্ঞানের বা ভ্রমণের বইয়ের অভাব নেই, সেগুলি দরকার মতো পড়তে পাওয়াও শক্ত নয়; তাই বিশেষ স্থল ছাড়া আলাদা করে কোনো বইলেখকের নাম করা হয়নি।
ভাবের কথা আশ মিটিয়ে পেতে হলে যেতে হয় বেদ-উপনিষদে, যার মধ্যে আমাদের চিরনমস্য ঋষিদের বাণী ধরা আছে। সেখান থেকেও আমরা দরকারমতো চুনে নিতে ছাড়িনি, কিন্তু ফী হাতে গ্রন্থের নাম শ্লোকের নম্বর দিলে বিশেষ সুবিধে হত না। এক তো, ঋষিদের বচন পড়া আজকালকার ফেশান নয়, তা ছাড়া বই আনিয়ে খুঁজে পেতে বার করলেও দেখা যাবে, ভাষ্যকারেরা যে-কালের উপযোগী ব্যাখ্যা করে গেছেন, সেকাল থেকে এ কালটা এত তফাত হয়ে পড়েছে যে, নিজের নিজের টিপ্পনী না কাটলে মানেটা কানেই থেকে যায়, ভিতরে পৌঁছয় না।
তাই আমাদের ভাব ঋষিকথায় শ্রোতার মনে পৌঁছে দিতে হলে, নিজের বোঝা মানেটা প্রকাশ করে বলতে হয়। দুএকটা নমুনা দিলেই যথেষ্ট হবে, তাতে যদি শ্রোতার ঋষিবচনের মধ্যে স্বাধীনভাবে বেড়াবার শখ হয়, সে তো খুব ভালো কথা।
খেলার ভাব
ঋগ্বেদে যে বিষ্ণুমন্ত্র আছে, যা আমাদের সব ক্রিয়ার আরম্ভে আওড়ানো হয়, অনেক সময় মানের দিকে দৃকপাত না করে, তাতে
১৯১