বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



খেলার উৎপত্তি

গায়ত্রী মন্ত্রে বলে সেই সবিতার বরেণ্য তেজ ধ্যান করতে। কোন্‌ সবিতা। যিনি আনন্দলোকের অধিপতি। তাঁর তেজ বা প্রকাশকে বরেণ্য বলে সেই সূরী বোঝেন, যাঁকে প্রেম দিয়ে বরণ করা হয়েছে। নিচের আকিঞ্চন আর উপরের প্রেরণা, দ্বি-ধর্মী বৈদ্যুতের মতো পরস্পরের অপেক্ষা করে, পরম্পরকে টানে; শেষে প্রেমের ঝিলিকে উভয়ের মিলনানন্দের উচ্ছ্বাস। এ মিলন দৈব সুপ্রসন্ন হলে ঘটে, বলাও যা, আর ঘটনাটা রহস্যময় স্বীকার করাও তাই।

 যাই হোক, আমরা এইটুকু বুঝেছি, ভবলীলার আরম্ভে, মাঝে, শেষে, সর্বত্র সেই প্রেম। হৃদয়ে প্রীতি নিয়ে আসা হয়, প্রীতি করতে থাকলে প্রেম বেড়ে চলে, প্রেম পূর্ণ হলে পাওয়া যায় নন্দলালকে।

খেলার উৎপত্তি

 ঈশোপনিষদের এক শ্লোকে উৎপত্তির কথা আমরা যে ভাবে পেয়েছি তাই দেখাই—

 স পর্যগাৎ শুক্রম্ অকায়ম্ অব্রণম্ অস্নাবিরং শুদ্ধম্ অপাপবিদ্ধং কবিঃ মনীষী পরিভূঃ; স্বয়ম্ভূঃ যাতাতথ্যতঃ অর্থান্ ব্যদধাৎ শাশ্বতীভ্যঃ সমাভ্যঃ। “

 এর মানে আমাদের কাছে এই ভাবে আসে—

 তিনি বেরিয়ে এলেন,— সেই নিরাকার নির্বিকার অবস্থা ছেড়ে— এবং যিনি আপনাতে আপনি ভরপুর (স্বয়ম্ভূ) ছিলেন তিনি লোক সকলের অধ্যক্ষ (পরিভূ) হয়ে, কবি-মনীষী-ভাবে (শাশ্বতীর) চিরকালের ও (সমার) কালের পর কালের পক্ষে উপযোগী ব্যবস্থা করলেন।

 সর্বব্যাপী রইলেন সর্বব্যাপী, তবে স্বষ্টির কারণে একাকার অবস্থা স্তরে স্তরে লোকে লোকে ভাগ হয়ে গেল, তাতে তিনিও বহুখণ্ডিত

১৯৩