পঞ্চভূতের বশীকরণ
আবার বেড়ে যায় গম—
টাকডুমাডুম্ডুম্।
ভেদবুদ্ধিই হয়ে আসছে মানুষের কাল। যে-যার নিজের দিকে টানাটানির চোটে যা উৎপন্ন হতে পারত তা হয় না, যা হয় তাও ফেলা-ছড়া যায়।
১৯২৭ সালে লেখা এক জর্মন পণ্ডিতের মন্তব্য চুম্বক করে দিলে আয়েবটা ফুটে উঠবে—“মরুকে উর্বর করার চেষ্টায় সমূহ বিপদ। জমি নিয়ে ফসল নিয়ে হবে কাড়াকাড়ি, বাধবে শেষটা লড়াই। এক জায়গার আবহাওয়ার না হয় উন্নতি করা হল, আর এক জায়গায় তাতে উলটো ফল হতে পারে, তারা করবে চেঁচামেচি, সেও গড়াবে যুদ্ধে। দূরের লোকের কথা ছেড়েই দাও, প্রতিবাসীর বাড় দেখলে প্রতিবাসীরাই খুনোখুনি লাগিয়ে দেয়।”
আর এক কথা, “এ উপকার করতে যাওয়া চলে না,” “ও অভাব মোচন করা পোষায় না”—আজকালকার রাজনীতির এ সব বুলির মানে আর কিছু না, যে কর্তৃপক্ষ এ রকম কাজে হাত দেবে তাদের ঘরে কিছু আসবে না। কর্তার ইচ্ছে কর্ম, কর্তার লাভই লাভ। চলতি তন্ত্রে সকলের সমৃদ্ধি বলে কোনো জিনিসই নেই।
নারায়ণকে ভালো না রাখলে নরনারীর মঙ্গল নেই, এ সোজা কথা আজকাল যেন একটা অদ্ভুত রহস্যের মতো শোনায়—লোকে আঁতকে, কিম্বা হেসে ওঠে। অথচ, এই কথাটুকু না বোঝায়, দুনিয়ার তিন ভাগ মানুষ আধপেটা খাচ্ছে, অনেকের তাও জুটছে না। এ দিকে বিজ্ঞানীরা বলেন, নতুন বিদ্যেসাধ্যি কিছু না খাটিয়েও পৃথিবীর জলস্থল থেকে মিলেমিশে করলে যা উৎপন্ন হতে পারে, তাতে পৃথিবীর লোক চারগুণ বাড়লেও তাদের খাওয়াপরা চলতে পারে।
৩০