বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

জলের কথা

 ব্যবস্থা করে জল আনতে লাগাতে পারলে মরুভূমিকে ফলন্ত করা যায়, এ কথাটা নতুন নয়; জল আনার চেষ্টাও অনেক দিনের, তাও তো দেখা গেল। এক জোট হয়ে সব রকম বিদ্যে খাটানোটাই নতুন; আরো নতুন তার উদ্দেশ্য—সংঘবদ্ধ মানুষের উপকার, যে সংঘের মধ্যে জাতিভেদ নেই, যার মূল-মন্ত্র মানলে কোনো সমাজের তার মধ্যে ঢুকতে মানা নেই।

 স্বর্গেমর্ত্যে পাতালে জল তো সর্বত্র। আকাশে জলের অদৃশ্য ভাপ উঠে মেঘ-কুয়াশা হয়ে দেখা দেয়। সমুদ্র ছাড়া, মাটির উপরের জল থাকে জমির খাঁজে নদী, গহ্বরের ভিতর হ্রদ, পাহাড়ের উপর বরফ হয়ে। মাটির তলার জল কোথাও চুঁয়ে চুঁয়ে ধীর স্রোতে চলে, কোথাও গুহায় গর্তে স্থির থাকে। কেমন ক’রে এই সব জলকে মানুষের দরকার মতো হাজির করা যায়, USSR-এর সেই ভাবনা।

 স্বাভাবিক উৎস বাদে, পাতকুয়ো, নলকুয়ো, বাঁধা ইঁদারা, এই সব হল পাতালের জলে পৌঁছে তাকে উপরে টেনে আনার মামুলি রাস্তা। মরুর মধ্যে কোনো জায়গায় উৎস থাকলে তার কাছে মানুষ বসতি করে আসছে, আশপাশে কিছুদূর পর্যন্ত নিজের খোঁড়া কুয়ো ইঁদারা দিয়ে চাষের কাজ চালাচ্ছে, এই তো সেকেলে বন্দোবস্ত। কিন্তু কুয়োর উপর কুয়ো বাড়িয়ে জলের জোগাড়ে মরুকে ঝাঁঝরা করে ফেলা,—এ কালের সে পন্থা নয়।

 বাঁধানো নহরে-আনা জল পেলে, মানুষের পক্ষে যানবাহন নিয়ে মরু পারাপার করার উপায় হয় বটে, কিন্তু সে জল দুধারের জমির কতটুকুই বা ভেজাতে পারে, তেপান্তর বালির ভিতর দিয়ে বড়ো জোর

৩২