পাতা:বিশ্বমানবের লক্ষ্মীলাভ.djvu/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জলের কথা একটা উর্বর রেখা টেনে যায়। যেমন লম্বা তেমনি চওড়া রুশের মরুর আবাদ কি তার উপর নির্ভর করে চলতে পারে। কাজেই নছর বাড়ানোর চেষ্টাও বড়ো একটা চলছে না। তবে জাহাজে ক’রে জল আনা হবে না কি। তামাশার ভিতর এক এক বার সত্যি কথা থেকে যায় ৷ কাশুপ সাগরের এক কোলের ধারে মরুর মধ্যিখানে ক্রাস্নোভডস্ক ব’লে এক শহর আছে— বাংলা অক্ষরে লিখলে যার নাম উচ্চারণের অসুবিধে বাড়বে বৈ কমবে না— সেখানে নোনা জলের ছড়াছড়ি, খাবার মতো এক ফোটাও মেলে না। কাজেই সাগরজলের জুন বাদ দিয়ে পানীয় জল কলে তৈরি করে নিতে হয় ৷ কল বিগড়ে গেলে, মেরামত না হওয়া পর্যস্ত সাগর পার থেকে জাহাজে জল আনে ; ইতিমধ্যে খাবার জল টাকায়-সের বিকোয়। তাই বলে কেহ কি মনে করবে, মাঝ-মরুতে জল পৌঁছে দেবার এটা এক উপায় ? বরফ-পাহাড়ে অফুরন্ত জল জমাট বেঁধে আছে। প্রকৃতির দেখাদেখি ঐ জলের ভাগ নদী দিয়ে দরকার মতো আনতে পারলে একটা উপায়ের মতো উপায় হয় বটে— ভগীরথ-ইঞ্জিনিয়র যে-কৌশলে গঙ্গার ভাগীরথী শাখাকে বাংলা দেশের ভিতর দিয়ে চালিয়ে দিয়েছিলেন । USSR ঐ ধরনেরই পথ ধরেছেন। তাদের দৃষ্টিশক্তি ঋষিতুল্য না হলেও, তার অভাব ভূতত্ত্ব-পুরাতত্ত্ব চর্চা দিয়ে পূরণ করে নিয়েছেন। আরো সুবিধে হয় যদি যে-খেপে জোলো হাওয়া সাগর থেকে ডাঙার উপর দিয়ে পাহাড় পর্যন্ত চলে তার জলের বোঝা এখানে-ওখানে ইচ্ছেমতো খসিয়ে নিতে পারা যায়, তাহলে আনা-নেওয়ার পথ বল, সময় বল, ঝঞ্ঝাট বল, অনেক বেঁচে যায়। খাওবদাহের সময় অজুর্ন ইজের প্রচও বর্ষণ আটক রেখেছিলেন ; বিজ্ঞানীরা দেবরাজের বারিধারা চুরি VAO fo-vs.-->